কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা যে স্মার্ট দেশের কথা বলেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট নাগরিকদের সুস্থ, সবল ও সুন্দর মনের অধিকারী হতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল, মানবিক ও যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। সরকার নতুন শিক্ষা পাঠ্যক্রম চালু করেছে। আমরা পড়ে পড়ে ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে শিখবো এবং ভালভাবে এর প্রয়োগ করবো। বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে নিজেদেরকে দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদেরকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা পথ দেখাবেন ও সহযোগিতা করবেন। যেমনভাবে অভিভাবকেরা লালন-পালনে যত্ন ও আদর করেন, তেমনি একটু শাসনও করে থাকেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাবা-মা ও শিক্ষকদের পরামর্শ শিক্ষার্থীদের মেনে চলাসহ মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকদেরকে প্রযুক্তিকে আয়ত্বে নিয়ে প্রযুক্তির নির্ভর ডিভাইস ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞান আহরনের বাইরে ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীদের পড়ার বই ছাড়াও অন্যান্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পাশাপশি মা’কে ভালোবাসতে হবে। যে মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন, সেই মা ছাড়াও আমাদের আরো দুজন মা আছেন। একজন দেশ-মা আরেকজন মাতৃভাষা-মা। তাহলে আমরা সকলেই তিন মা’কে ভালোবাসবো। দুই সপ্তাহ আগে মাকে হারিয়ে বুঝেছি ‘মা’ না থাকার বেদনা ও তফাৎটা কি। মা-বাবা ও শিক্ষকরা শাসন করেন তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) ভালোর জন্যে। আমরা সকলেই তাদেরকে শ্রদ্ধা করবো ও দেশকে ভালবাসবো।
রবিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় শিক্ষার গুণগত মনোন্নয়নের লক্ষ্যে’ নেত্রকোনা সরকারি কলেজ মাঠে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নূরুল বাসেতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, তোমাদের মাঝে অনেকে নতুন ভোটার হয়েছো। প্রত্যেক মানুষের ভোটের অনেক দাম আছে। তোমরাই (শিক্ষার্থীরা) ঠিক করবে ভবিষ্যৎ সরকার কেমন হবে। এমন একটা দেশ হবে যেখানে বিজ্ঞান অগ্রগামী, তরুণরা কাজ করার সুযোগ পাবে, গণতন্ত্র, নারীর অধিকার, সৃজনশীলতার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলার দাম এবং মানবিক মর্যাদাবোধ থাকবে। সেই রকম বাংলাদেশের জন্য তিনি শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান করেন। বৈরী আহবহাওয়াকে তোয়াক্কা না করে উপস্থিত হবার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা, নিরন্তর ভালোবাসা ও শুভকামনা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আ.লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান লিটন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ হাবিবা খান শেফালী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ সারোয়ার মুর্শেদ আকন্দ জাস্টিসসহ জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।