স্টাফ রিপোর্টার : চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই- এই ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব-১৪। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পাঁচজনকে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত: অটোরিকশা ছিনাতাইকালে আসামিদের একজনকে চিনে ফেলায় হত্যাকান্ড সংঘটিত করে ঘাতকরা।
মঙ্গলবার (১৬ মে) ভোর পৌনে ৬টার দিকে র্যাবে হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. রকিবুল ইসলাম (১৯), মো. আ. রহিম (২২), মো. ফারুক হোসেন (৩৭), শফিকুল ইসলাম (৩২) ও ফরমান আলী (৪০)। তারা সকলে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বয়রা এলাকার বাসিন্দা।
নিহত অটোরিকশা চালক কিশোর বয়সি মনির একই জেলা ও উপজেলার রুদ্র বয়রা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের (৪১) ছেলে। চলতি বছরের গত ২৩ এপ্রিল টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায় গত ২২ এপ্রিল ঈদের পরের দিন বিকেল ৩টার দিকে রকিবুল ইসলাম সরিষাবাড়ীর পোগলাদিয়া থেকে জামালপুর সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় যাওয়ার জন্য ভুক্তভোগীর অটোরিকশা ভাড়া করে। পথের মধ্যে রকিবুল শফিকুলকে অটোরিকশায় উঠায়। তারা দুজন ঘোরাঘুরি জন্য টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর দিকে রওনা করে। এরমধ্যে চা-পান করার বাহানায় তারা দুজন অন্য আসামি রহিম ও ফারুকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে।
রকিবুল ও শফিকুল সময় ক্ষেপন করার জন্য অটোচালক মনিকে মধুপুরের উদ্দেশ্য যেতে বলে। এর ভেতরে রহিম ও ফারুক মোটরসাইকেলে করে অটেরিকশার কাছাকাছি চলে আসে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীসহ শফিকুলকে নামিয়ে দিয়ে অন্য একজনকে ওঠানোর কথা বলে অটোরিকশা নিয়ে রকিবুল চলে যায়। রকিবুল আসতে দেরি হলে অটোচালক মনি শফিকুলকে চাপ দিতে থাকে। এদিকে রহিম ও ফারুক বাইক নিয়ে চলে যাওয়ার মুহুর্তে ভুক্তভোগী রহিমকে চিনে ফেলে। এই ভয়ে শফিকুল, রহিম ও ফারুক প্রথমে মনিকে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে মুখে আঘাত করে। টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌরসভার কাইতকাই এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের গোলাবাড়ি ব্রীজের পাশে বেগুন খেতে ফেলে স্থান ত্যাগ করে ধৃত আসামিরা।
রকিবুল ছিনতাকৃত অটোরিকশাটি ফরমান সর্দারের নিকট ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। নিজে কাছে ১৮ হাজার টাকা রেখে অন্য তিন সহযোগী প্রত্যেককে সাত হাজার টাকা করে দেয়। বাকি টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ দেখায়। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাবের এই কর্মকর্তা।