দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ ছেয়ে গেছে সোনালি ধানে। দুর্যোগে সে ধান নষ্ট হওয়ার আগেই ঘরে তুলতে হবে। শ্রমিক সংকটে অল্পসময়ে ধানকাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন কৃষকরা। প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগকর্মীরা। ঘাড়ে গামছা নিয়ে কৃষকের কাঁধে কাঁদ মিলিয়ে ধান কেটে চলেছে তারা।
‘কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সোমবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় আলমপুর ইউনিয়নের চিকলী বাজারের পারুল বেগমের ৬০ শতক জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে তারাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পারুল বেগম বলেন, আমার পাকা ধান কাটতে শ্রমিকের অনেক মজুরি লাগতো। স্বামী আমার প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পরে আছে দীর্ঘদিন ধরে । আমার করুন অবস্হার খবর শুনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে দিয়েছে বিনামূল্যে। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তারাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বারেক পিয়াল জানান , এ বছর তীব্র গরম, ঝড় বৃষ্টিসহ নানা কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে কৃষকরা সময়মতো জমি থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারাগঞ্জ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগ কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজা মণ্ডল বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশ রয়েছে দেশের সব জেলায় গরিব ও অসহায় কৃষকের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ধান কেটে দিয়েছি। এতে কৃষকের সম্মতি ছিল। তিনি আমাদের কাজে খুশি হয়েছেন, এতেই আমাদের তৃপ্তি।
উল্লেখ্য, চলতি বোরো মৌসুমে খেত থেকে ধান কেটে কৃষকের ঘরে নিরাপদে পৌঁছে দিতে তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব আহ্বান ও অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের সংকল্প, অতীতের ন্যায় এ বছরও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে কৃষকের কাছের বন্ধুতে পরিণত হবে।’