কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রাম। এখানকার প্রতিটি বাড়িতে জৈষ্ঠের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় লিচু বিক্রির ব্যাস্ততা। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এ লিচুর চাহিদা এখন দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক বাজারেও। মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার লিচুর খ্যাতি এখন দেশজুড়ে। পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজারগুলোতে এখন পুরোদমে চলছে লিচু বিক্র‍য়ের আমেজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া এলাকাজুড়ে রয়েছে সহস্রাধিক লিচু ফলের গাছ। প্রতিটি গাছ থেকেই এখন লিচু সংগ্রহের উত্তম সময়। ফলে লিচু সংগ্রহ করে ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন এখানকার লিচু চাষী ও বিক্রেতারা। এছাড়াও বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করতে মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় ছুটে আসছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

এখানকার স্থানীয় লিচু চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,অন্যন্য বছরগুলোর তুলনায় এবছর লিচুর ফলন খানিকটা কম হয়েছে। প্রচন্ড খড়া থাকার ফলে সেচ দিয়ে গাছের অতিরিক্ত পরিচর্যা করতে হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় ফলন না বাড়লেও বেড়েছে লিচুর দাম। অন্যন্য বছরগুলোতে মঙ্গলবাড়িয়া লিচুর দাম প্রতি ‘শ’ সর্বোচ্চ ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবছর ‘শ’ প্রতি লিচুর দাম বেড়ে ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর-ই আলম জানান, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচু চাষীদের খোঁজ রাখতে তৎপর রয়েছে পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি অফিস। লিচুর মুকুল আসা থেকে শুরু করে লিচু সংগ্রহ পর্যন্ত সার্বিক দিকনির্দেশনা,পরামর্শ প্রদান সকল বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে এসে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে উপজেলা কৃষি অফিস।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version