স্টাফ রিপোর্টার : জমি নিয়ে বিরোধে গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকবার হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে উভয় পক্ষের মধ্যে। থানা ও আদালতে হয়েছে একাধিক মামলা। এই সময়ে সালিশ হয়েছে বিরোধ মিমাংসার জন্য। কিন্তু কোনো উদ্যোগই সফল হয়নি। অবশেষে মানবতার ডাক ঐক্য পরিষদের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের জমি বিরোধ মিমাংসা হয়। সেইসাথে উভয় পক্ষকে একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে দেওয়া হয়।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের নুরুল্লাচর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী দুলাল মিয়া ও হোসেন আলী এই দুই পক্ষের জমি বিরোধ মিমাংসা করে তাদের ভুল বোঝাবুঝি দূর করে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এর উদ্যাগ নেয় সিংধা ইউনিয় ভিত্তিক সংগঠন ‘ মানবতার ডাক ঐক্য পরিষদ’।
গত রমজানে আত্মপ্রকাশ করা এ সংগঠনটির সদস্যরা ইতিমধ্যে সামাজিক কাজে নিজেদের জড়িত করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। অল্প সময়েই স্থানীয়দের মাঝে আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
আলোচনায় সংগঠনের সভাপতি পারভেদুজ্জামান অপু, সাধারণ সম্পাদক সাইমুন হাসান চৌধুরী, সংগঠনের উপদেষ্টা মুফতি ইলিয়াস হোসেন, তিন নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতিসুজন খান সহ সংগঠনের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির সদস্য, স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম মিয়া ও স্থানীয় মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
দুলাল মিয়া ও হোসেন আলী জানান, দীর্ঘদিন আমাদের বিরোধে কেটেছে। আমাদের নিজেদের এলাকার তরুণরা উদ্যোগ নিয়ে বিরোধ দূর করেছে এতে আমরা বেশ খুশী। আমরাও চাই শান্তিপূর্ন বসবাস করতে। এভাবে সব বিরোধ দূর হয়ে যাক।
মানবতার ডাক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সাইমুন হাসান চৌধুরী বলেন, দুলাল মিয়া ও হোসেন আলীর মধ্যে বিগত পাঁচ বছর ধরে জমি নিয়ে ঝগড়া চলছিল। অনেকবার এ নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। রক্ত ঝড়েছে উভয় পক্ষের। মামলা হয়েছে একাধিক। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা কয়েকবার সালিশ করেছেন। কিন্তু মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। শেষে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেই সমস্যা সমাধানের। তবে আমরা সফল হয়েছি। বিরোধ মিমাংসা করে উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছি। তারা এখন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
মানবতার ডাক ঐক্য পরিষদের সভাপতি পারভেদুজ্জামান অপু বলেন, সমাজে শান্তি ফেরাতে তরুণদের সমন্বয়ে গড়া এই সংগঠন সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করবে। তরুণরাই যেহেতু সমাজের শক্তি, তাই আমরা তরুণদের এই শক্তি ইতিবাচক কাজে লাগাতে চাই। সমজে গঠনে সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে চাই। তবে আলোচনা, সালিশে স্থানীয় গণ্যমান্যদের আমরা সাথে রাখি। সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।