কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আট বছরের শিশু ও খালিয়াজুরীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন কেন্দুয়ার গন্ডা ইউনিয়নে গারাদিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ ওরফে হাবুল। আরেকজন সাগর চন্দ্র দাস (২৩) খালিয়াজুরীর সদর ইউনিয়নে বানিয়াপাড়া এলাকার সুভাষ চন্দ্র দাসের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়।
কেন্দুয়ার নারীর নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান জানান, ঋণ তোলে শিশুটির মা তারই সম্পর্কে খালু অভিযুক্ত হাবুলকে দেওয়ার জন্য এনজিওতে ঋণের আবেদন করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ের ৮টার দিকে শিশুটির মা তাকে বাড়িতে রেখে ঋণের কাগজপত্রে স্বাক্ষরের জন্য হাবুলের বাড়িতে যায়। এদিকে হাবলু শিশুটিকে ১০ টাকা দিয়ে খালি ঘরের ভেতরে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করতে থাকে। কাগজপত্রে স্বাক্ষর শেষে তড়িঘরি ঘরে বাড়িতে ফিরে এসে সন্তানকে কান্নারত অবস্থায় এদৃশ্য দেখতে পান। পরে চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে হাবলুকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে। শিশুটিকে উদ্ধার করে আদমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেন জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ও আটককৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে খালিয়াজুরীতে সাগর চন্দ্র দাসকে (২৩) আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত সাগরকে আদালতের মাধ্যমে কারগারের পাঠানোর কথা জানান খালিয়াজুরী থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক রানা।
তিনি জানান, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সাগর তার চাচার গোয়াল ঘরে (গরু রাখার ঘর) নিয়ে ধর্ষণ করে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে। খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ দাখিলের আগেই ওইদিন বিকেলেই খালিয়াজুরী বাজার থেকে সাগরকে আটক করি। পরে রাতে ভিকটিমের বাবার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।