স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ছোট একটা ভূখণ্ডে বিশাল জনগোষ্ঠী সামাল দেওয়া কষ্ট হলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা শীর্ষক’ উচ্চ পর্যায়ের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা শুধু চিকিৎসা বা ওষুধ খাওয়ানোই নয়–এর সঙ্গে খাদ্য, পুষ্টি নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং সার্বিক যে শিক্ষা দেওয়া- সেই ব্যবস্থা বাংলাদেশ নিয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টার হবে। যেখানে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা হেঁটে গিয়েই চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে।
‘২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তাই পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা সে পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবার সেই উদ্যোগ নেই।’
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। বর্তমান সরকার পাঁচটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছি। সেই সঙ্গে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এইচ