কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার খলিয়াজুরীতে আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে চাচার গোয়াল ঘরে (গরু রাখার ঘর) নিয়ে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি বখাটে যুবক সাগর চন্দ্র দাসের (২৩) বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে অভিযোগ দাখিলের পূর্বেই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক রানা ঘটনার দিন বুধবার (১০ মে) বিকেলে খালিয়াজুরী বাজার থেকে অভিযুক্ত সাগরকে আটক করতে সক্ষম হন।
সাগর চন্দ্র দাস উপজেলার সদর ইউনিয়নে বানিয়াপাড়া এলাকার সুভাষ চন্দ্র দাসের ছেলে। অভিযুক্তের চাচা ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) অজিত কুমার দাসের টিনের গোয়াল ঘরে একই দিন সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা করে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
জানা যায়, আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সাগর তার চাচার গোয়াল ঘরে ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় ভুক্তভোগীর সাথে দুই শিশু ছিল। তাদেরকে সাগর ধমক দিয়ে চলে যেতে বলেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই দুই শিশু ভুক্তভোগীর মাকে জানায় কিশোরীকে কি যেন করতেছে। পরে কিশোরীর মা এসে দেখতে পান ভেতর থেকে গোয়াল ঘরের দরজা বন্ধ ও কান্নার শব্দ শোনতে পান। খুলতে বললে দরজা না খুলে তালবাহনা শুরু করে সাগর।
কিছুক্ষণ পরে দরজা খুললে ভুক্তভোগীর মা দেখতে পান ঘরের পেছনের দরজা খোলা। কিশোরী ও সাগর তাদের কাউকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। পরে সাগরের সাথে দেখা হলে কিশোরীর কথা জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত যুবক খুনের হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখায় ভুক্তভোগীর মাকে। এর আধা ঘন্টা পরে কিশোরী বাড়িতে ফিরে তার মাকে ধর্ষণের কথা বলে এবং ভুক্তভোগী চিৎকার দিতে চাইলে মুখ চেপে ধরে রাখে সাগর।
সাগর চন্দ্র দাসকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে খালিয়াজুরী থানার এসআই এমদাদুল হক রানা বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হবে। জবানবন্দীর জন্য ভুক্তভোগী ও আটক অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।