ভোলার লালমোহনে জেলেদের মাঝে জাল ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানের ব্যানরে নাম না থাকায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে মারধর ও অফিসের দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়ার হুমকি এবং অশ্লীল ভাষায় গালমন্দের অভিযোগ উঠেছে লালমোহন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক আবুল হাসান রিমনের বিরুদ্ধে।গত বুধবার মোবাইল ফোনে হুমকির ঘটনা ঘটেছে বলে মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। বুধবার ওই উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জেলে পল্লীর ১৩০ জন জেলেদের মাঝে জাল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরন করা হয়।
শুক্রবার লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দসু সাংবাদিকদের জানান,সম্প্রতি সময়ে লালমোহন উপজেলার জেলেদের জন্য জাল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বরাদ্দ হয়।ওই বারদ্দ সামগ্রী বিতরনের অংশ হিসেবে গত বুধবার ওই উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জেলে পল্লীর ১৩০ জেলেদের মাঝে জাল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরনের দিন ধার্য করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় সংসদ সদস্যসহ তিনজনের নাম সম্মলিত ব্যানার তৈরি করে তার উপস্থিতে জেলেদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। ওই বিতরন অনুষ্ঠানের ব্যানারে লালমোহন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক আবুল হাসান রিমনের নাম না থাকায় তিনি ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় ব্যানারটি তৈরি করা হয়েছে একথা তাকে একাধিকবার বলার পরেও তিনি আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও মারধর এবং অফিসের দোতলা থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন।
পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মহোদয়কে জানিয়েছেন। তার হুমকি ধামকিতে কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমন জানান, অনুষ্ঠানের ব্যানারে নাম না দেখে আমি তার কাছে জানাতে চেয়েছি। কারনে তিনি আমার সাথে অশোভন আচরন করেছেন। পরে তার সাথে আমার কথার তর্ক হয়েছে। তবে কোন হুমকি ধামকির অভিযোগটি সঠিক নয়।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল জানান, বিষয়টি উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।