নীলফামারী থেকে প্রকাশিত “দৈনিক নীলকথা” পত্রিকা নকল করে মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার অভিযোগে রাজারহাট কাবাদিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দবির হুদা ও অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ করা প্রেরন করা হয়েছে।
গত ২ মে (মঙ্গলবার) নীলফামারী জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শাহ এর মাধ্যমে এই জাল-জালিয়াতি উদ্দেশ্যে প্রতারনার জন্য ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন “দৈনিক নীলকথা” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মাহাবুবুল হক দুদুল।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার জমিদাতার ওয়ারিশবর্গ ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দৈনিক “নীলকথা” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মাহাবুবুল হক দুদুল এ্যাডভোকেটের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেছেন,বহুল প্রচারিত “দৈনিক নীলকথা” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে কাজী মাহাবুবুল হক দুদুল দীর্ঘ দিন থেকে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইতোমধ্যে সংবাদ জগতে সুনাম কুড়িয়েছে পত্রিকাটি। কিন্তু উক্ত পত্রিকার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতারনামূলক ও বে-আইনীভাবে বিগত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে রাজারহাট কাবাদিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা দেখানো হয়,যাহা সম্পূর্ণ চক্রান্তমূলক প্রতারনা ও বে-আইনী বটে।
উক্ত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ইং তারিখে “দৈনিক নীলকথা” পত্রিকায় এইরুপ কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আদৌ প্রকাশ করা হয় নাই। উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে প্রতারনামূলক ভাবে সম্পাদক ও প্রকাশকের পত্রিকার সুনাম ক্ষুন্ন করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে এবং উক্ত মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারে প্রতারনার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। জাল-জালিয়াতি উদ্দেশ্যে প্রতারনা করার জন্য সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন। উল্লেখ্য,অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ও সভাপতি দবির হুদার বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভিযোগ এনে বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে নীলকথা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মাহাবুবুল হক দুদুল বলেন,আমার পত্রিকায় রাজারহাট কাবাদিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় নাই। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কেমন করে আমার পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখালো? এটার জবাব আমি নেবো। অধ্যক্ষ নিজে এসে আমার কাছে জবাব দিবে। কার মাধ্যমে সে এমন জালিয়াতি করলো? আগে আমি শুনবো। এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা? তারপর আইনি ব্যবস্থা নিবো।