অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে, যা বিএনপির চোখে ধরা পড়ে না। কারণ তাদের দৃষ্টি অত দূর পর্যন্ত পৌঁছায় না।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই বলেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ-অনির্বাচিত সরকার বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন। বিগত সময়ে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে এবং দেশের জনগণ তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক কোনো অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অথবা অর্পণ এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সকল খাতকে একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সকল খাতে ঈর্ষনীয় সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্ব সভায় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় তখন এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সুগভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের মানুষের উপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন ও দীর্ঘ স্বৈরশাসনের স্টিম রোলার। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সকল খাত। নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের বুটের তলায় পিষ্ট হয় এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারই হয়ে ওঠে জনগণের সরকার।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ে কথা বলেছেন! এটা ভুতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। তাদের নেতা দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল; লুটপাট ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। অর্থপাচার মামলায় দণ্ডিত হয়ে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র কোকোর পাচারকৃত অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এনেছে সরকার। দুর্নীতি ও অর্থপাচার বিএনপির মজ্জাগত রোগ। জনগণের টাকা বিদেশে পাচারের যে অপসংস্কৃতি বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল তা নির্মূল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার ।
টিএমবি/এইচএসএস