যশোরের অভয়নগরে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মেঘের ঘনঘটার সাথে মাঝেমঝ্যে বৃষ্টি হওয়ায় ধান কাটার শ্রমিকের বেড়েছে কদর। তারা মজুরি হাকাচ্ছেন হাজার টাকা। বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছরে অভয়নগরে ১৪ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় বোরো ধানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।উপজেলায় কর্তণকৃত ধানের নমুনা পরীক্ষা করে দেখাগেছে এবছর হাইব্রিড ধানের হেক্টর প্রতি (২৪৭শতাংশে) গড় উৎপাদন হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৮ মে.টন আর উচ্চ ফলনশীল জাতের ফলন ৬ দশমিক ৫৭ মে.টন দুইটা মিলে গড় উৎপাদন দাড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৪৫ মে.টন। গত বছর বোরো ধানের গড় উৎপাদন ছিলো ৬ দশমিক ৫১ মে.টন যা গতবারের তুলনায় বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গ থেকে শ্রম বিক্রি করতে আসা শ্রমিকরা মুজুরি হাকাচ্ছেন দ্বিগুণ। চাষিদের কাছে শ্রমিকের চাহিদা বেশি থাকায় তার দিচ্ছেন নানান ফর্দ। যে কারণে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
উপজেলার একতারপুর গ্রামের কৃষক শাহ্ আলম বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে হিরা জাতের ধান চাষ করেছিলেন। তার জমিতে কাঠায় ২ মণ হারে ফলন হয়েছে। তিনি ধান ঘরে তোলার কাজে এক একজন কৃষাণ ৭শ টাকা করে মজুরি নিচ্ছেন। বাজারে ধানের দাম মোটামোটি ভাল বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান জানান, পাঁচ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান কাটা শ্রমিকের মুজুরি বেশি হওয়ার বিপাকে পড়েছি। কাটা ধান ঘরে তোলা শেষ হয়নি। গত বছরের তুলনায় ফলন ভাল হয়েছে। তবে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরির পার্থক্য রয়েছে।
নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষাণী হালিমা বেগম জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান কাটা শ্রমিকের সংকট রয়েছে। আর তাদের মজুরি দ্বিগুন হয়েছে। তাই আমি নিজেই ধান কাটা শুরু করেছি। শ্রমিকের অযৌক্তিক মজুরি কমলে ঘরে ধান তোলা সম্ভব হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন বলেন, এ বছর ধানের ভাল ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলার ৭২ শতাংশ ধান ঘরে তোলা হয়েছে। এখনো আবহাওয়া অনুকূলে আছে।