স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার মদনে ফতেহপুর ইউনিয়নে দেওসহিলা চালাকান্দা গ্রামে শিক্ষানবিশ অ্যাডভোকেট হাফিজুল হক চৌধুরী খুন হওয়ার দীর্ঘ নয় মাস পর ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এ গ্রামে বিবদমান দুই গ্রুপ ফুল মিয়া চৌধুরী ও রফিক মিয়ার লোকজনের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, দীর্ঘ নয় মাস পর রফিকুল ইসলাম মিয়ার লোকজন এলাকাবাসীর সহায়তায় বাড়িতে বসবাস করার জন্য আসেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ফুল মিয়া চৌধুরীর লোকজন রফিকুল ইসলামের লোকজনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশীয় অস্ত্র লাঠি শোঠা নিয়ে মারধর শুরু করে। এতে করে দুপক্ষের চারজন আহত হন।
রফিকুল ইসলামের পক্ষে আহতরা হলেন- আব্দুল খালেকের স্ত্রী জরিনা আক্তার (৬০), আব্দুল মালেকের স্ত্রী ললিতা আক্তার (৫৫) আবুল হোসেনের স্ত্রী নুরি আক্তার (৩০)। আর ফুল মিয়া চৌধুরীর পক্ষে কাঞ্চন চৌধুরীর ছেলে ইমরান চৌধুরী (৩০) আহত হন। আহতরা মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন জানা গেছে।
রফিকুল ইসলামের পক্ষের হারেছ মিয়া বলেন, দীর্ঘ নয় মাস পর রোহিঙ্গাদের মতো করে বাড়িতে আসলাম। আগেই আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে ফুল মিয়ার লোকজন। বাডিতে কোন কিছু নাই। পলিথিন ও ত্রিপাল টানিয়ে কোন রকমে গত দুইদিন ধরে বসবাস করছি। বাঁশ কাঠ এনেছি চালা ঘর তৈরির জন্য। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ফুলমিয়ার লোকজন বাড়িতে এসে এক-দুইটা খুনের জন্য প্রস্তুত বলে আমাদের মারধর শুরু করে।
এ ব্যাপারে ফুলমিয়া চৌধুরী জানায়, সকালের ধান কাটার জন্য আমার ভাতিজা ইমরান (৩০) হাওরে যাচ্ছিল। রফিকুল ইসলামের লোকজন ভাতিজাকে দেখে গালাগালি শুরু করে। একপর্যায়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত বছরের ৭ জুলাই ফুল মিয়া চৌধুরীর ছেলে শিক্ষানবীশ অ্যাডভোকেট হাফিজুল হক চৌধুরী বাড়ি থেকে মুতিয়াখালী বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন। এরপর থেকে দেওসহিলা চালাকান্দা গ্রামে দুপক্ষের মাঝে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। নয় মাস পর বিবদমান দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।