স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১৪ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নে হারুলিয়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের কাছ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
দুপক্ষের আহতরা হলেন- রুবেল (৩২), অলিদ জাহান (৩০) আনেছা বেগম (৭০), রনি (২৫), রফিক (২৪), শিপন (২৮), সুলেমান (৩৫), দিলু মিয়া (৩৮), উজ্জল (৩৫), মোজাম্মেল (২৩), সুমন (২২), জানু মিয়া (৩৮) বাবুল (৪২) ও জিরাতুল (৩২)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রুবেল, অলিদ জাহান, রনি, রফিক, শিপন ও উজ্জল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নূর জাহান পারভিন লিজা। বাকি আহতদের মধ্যে দুই-তিনজন স্থানীয়ভাবে ও বেশিরভাগ আহতরা কেন্দুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একপক্ষের জানু মিয়া জানান, আব্দুস সাত্তারের পরিবারের কাছ থেকে ৩২ শতাংশ জমি ১৮ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকায় ক্রয় করি। এ জমির মূল্য বাবদ সাত্তারের ছেলে রুমানকে তার মায়ের উপস্থিতিতে নগদ ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি টাকা ঈদের পরে দলিল করার সময় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দলিল করে দিতে তালবাহানা শুরু করে তারা। এ ঘটনায় তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তাদের আঘাতে আমাদের অনেক লোকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে আমার মা আনেছা ও উজ্জল দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে ডাক্তার।
অপরপক্ষের ইনসু মিয়া জানান, গরু বাছুর খেত খাওয়া নিয়ে গত শনিবার আললাদ মাষ্টারের ভাতিজার সাথে আমার ভাতিজা ও নাতির সাথে (ছোট বাচ্চাদের) তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে আললাদ মাষ্টারের ছেলে ও তার ভাতিজারা মিলে সম্পর্কে ভাতিজা লাগে ছানা ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং ঘর ভাঙচুর করেছে। এতে ছানার বউয়ের মাথায় দুইটি কুপ লাগে ও ছানার হাত-পা গেছে। এরপর থেকে তারা মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় মাতব্বররা দেন দরবার করলে আমরাসহ দুপক্ষ আপোষের জন্য সম্মতি দিয়ে দিয়েছি। জানু মিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। গত রবিবার রাতে ভাতিজা আলমগীর ওই বাড়ির সমানে আসার সময় বাঁধা প্রদান ও আপোষের বিষয় নিয়ে জানুর লোকজন বকাবাদ্য করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ (সোমবার) তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দুপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।