স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের জনগনকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তারই সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তিসহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ২৩৬টি উপজেলাকে শতভাগ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ নানা ধরণের কল্যাণমূলক কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে এসেছে। সরকার প্রতি বছর ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে ২ শত কোটি টাকা বিতরণ করছেন। আমি মসাজ কল্যাণ মন্ত্রী হওয়ার আগে নেত্রকোনায় ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে মাত্র এক কোটি টাকার অনুদান দেয়া হয়েছিল। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২৮৭৬ জন রোগীর মাঝে ১৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা হত দরিদ্রদের জন্য দুই শতাংশ জায়গাসহ আধা পাঁকা ঘর দিয়েছে। অস্বচ্ছল গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরী করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কণ্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে একজন রোগীও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। প্রত্যেকের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি সবাইকে শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করার অনুরোধ জানান।
রবিবার দুপুরে স্থানীয় পাবলিক হলে জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধা এডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজল, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ, পৌর মেয়র আলহাজ্জ্ব নজরুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা, নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আতাউর রহমান মানিক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার মো. নূরুল আমিন, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আলাল উদ্দিন।
এ অনুষ্ঠানে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত দুইশত জন রোগী প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়।