মো: মহিবুল ইসলাম, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাধীন আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে আপন জামাতার হাতে শ্বশুর – শ্বাশুরী লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ভুক্তভোগী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে জানা যায়,আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজারের বাসিন্দা আলহাজ্ব মোঃ নূর হোসেন (৮০) তার চতুর্থ মেয়েকে একই বংশের মৃত জয়নাল আবেদিন খানের পুত্র মোঃ আজাহার খাঁ খোকন এর সাথে বহু বছর পূর্বে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেন,।
কিন্তু জামাতা আজাহার খাঁ লোভি প্রকৃতির হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শ্বশুর আলহাজ্ব মোঃ নূর হোসেন কে টাকা পয়সা ও জমি জমা লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে,কিন্তু শ্বশুর আলহাজ্ব মোঃ নূর হোসেন এর কাছ থেকে নানান কৌশলে বহু বার এড়িয়ে গেলেও ১ বছর পূর্বে হাজিরহাট বাজার থাকা মূল্যবান ২ কাঠা জমি লিখে দিতে বাধ্য হন। উক্ত ২ কাঠা জমি নিয়ে জামাতা খান্ত হন নাই, বাজার থাকা শ্বশুরের বাকী সম্পতিটুকু নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।
চাপ দিয়েও স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে গত ২৬/০৪/২০২৩ তারিখ বিকেল আনুমানিক ৩ টার সময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জামাতা আজাহার খাঁ তার শ্বশুর আলহাজ্ব নূর হোসেনের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও ঘরে তা টাকা পয়সা, স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায় ও বিভিন্ন দামী আসবাব পত্র ভাংচুর করে।
জামাতা এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে বাঁধা দিতে গেলে শ্বশুর নুর হোসেন (৮০) ও শ্বশুরী আম্বিয়া বেগম (৭৫) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
ভিক্টিমদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে জামাতা আজাহার ও সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত শ্বশুর -শ্বাশুরীদের চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তারা বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডের ২৬ ও B ব্লোকের ৯ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য যে,জামাতা আজাহার খাঁ বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি,চাদাবাজী,মাদক,প্রতারণা সহ ৭/৮টি মামলা এজাহার ভুক্ত হয়ে কোর্টে চলমান আছে।