মোঃ আতাউর রহমান, লালপুর প্রতিনিধি: নাটোরের আব্দুলপুরের কলা হকারেরা প্রতিদিন সকালের ট্রেনে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজশাহী শহরে যায়।
ষ্টেশনের পাশে গোসাইপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ট্রেনের মধ্যে বিভিন্ন পন্য নিয়ে যাত্রী সাধারণের কাছে বিক্রি করে থাকে। তাদের প্রধান জীবিকা হচ্ছে হকারের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেনে কলা,আম, গুড়,মনিহারী দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করে থাকে।
প্রতিদিন সকালে শতাধিক ব্যক্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে পন্যসামগ্রী নিয়ে বের হয়। ষ্টেশনে কলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বর্তমানে কলা গাছ থেকে কিনে বাজারে বিক্রি করে তেমন লাভ হচ্ছে না,কারণ ৪/৫ শত টাকা করে একটি কলার গাছের কলা ক্রয় করে খুব বেশি লাভ হয় না,তাছাড়া জিনিস পত্রের যে দাম তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বাবাদের ব্যবসা ধরে রাখার জন্য কলা ব্যবসা ধরে রেখেছি। তারা আরও জানান সরকার যদি আমাদের কিছু সাহায্য সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা স্হায়ীভাবে অন্য ব্যবসা শুরু করতে পারবো।
কলার ব্যাবসা আব্দুলপুর এলাকায় নিরব বিপ্লব ঘটায়, এই ব্যবসার উন্নয়ন এর সাথে বহু লোক জড়িত এবং তাদের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই চলে আসছে। নিরবে নিভৃতে এরা ব্যবসা করে আসছে, বর্তমানে এরা বাংলাদেশের অনেক জায়গা জুড়ে ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছে, আবদুলপুর থেকে বংগবন্ধু পশ্চিম রেল ষ্টেশন, পর্যন্ত প্রতিটা ষ্ষ্টেশন,রাজশাহী শহর, নাটোর শহর, বাঘা, লালপুর, বিল বাড়িয়া বাজার, তাছাড়া রিকসা ভ্যানে করে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে ফেরি করে বিক্রি করে। অথচ এদের ব্যাপারে অনেকেই এতটা জানেও না খোজও রাখেনা। এই ব্যাবসার সাথে যারা জীবন জীবিকার জনয় জড়িত সার্বিক উন্নয়নে সরকারি ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
টিএমবি/এইচ