পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে মৌলভীবাজারের জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। ঈদের দিন থেকে উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে পা ফেলার ঠাঁই মেলা বড় কঠিন হয়ে পড়েছিল।

ঈদের দিন শনিবার, দ্বিতীয় দিন গতকাল রবিবার ও সোমবার উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গেলে দেখা মিলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিয়াসুদের। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছেন। এতে করে টিকেট মূল্য বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসা ঢাকার ব্যবসায়ী মিলন আহমেদ, সিলেটের এমসি কলেজছাত্র রেদুয়ান আহমেদসহ বেশ কয়েকজন প্রতিবদকে বলেন, প্রতি ঈদেই চেষ্টা করি কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ায় ঘুরে যেতে। এটি একটি সমৃদ্ধ বন। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য্য আর জীববৈচিত্র্যের মিলনমেলায় ভরপুর এই বনটি দেখে মন জুড়িয়ে যায়। বানরের লাফালাফি আর এখানে এত গাছগাছালি, যা আর কোথাও নাই।
লাউয়াছড়ার টিকিট কালেক্টর শাহীন আহমেদ বলেন, এবারের ঈদে লাউয়াছড়ায় প্রচুর দর্শনার্থী এসেছেন। ঈদের দিন শনিবার লাউয়াছড়ায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পর্যটক, দ্বিতীয় দিন রবিবার প্রায় আড়াই হাজার ও গতকাল সোমবার বিকাল পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছেন।
বনবিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদকে বলেন, ঈদে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পর্যটকের সমাগম বেশি ঘটে। লাউয়াছড়ায় এবার ঈদের দিন রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছে। এর আগে কখনো ঈদের দিন দেড় লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় হয়নি। ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ঈদের ছুটিতে তিন দিনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে। বনকর্মী ও গাইডদেরকে পর্যটকেরা যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে বন ও পরিবেশের ক্ষতি না হয়, সে বিষয়েj খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version