বজ্রপাতে দেশের চার জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মাঝে সুনামগঞ্জে ছয়জন, মৌলভীবাজারে দু’জন এবং সিলেট ও নেত্রকোনায় একজন করে মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ও দুপুরের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
সুনামগঞ্জ: জেলার তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলায় হাওরে ধান কাটার সময় আজ সকালে বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম দেবেরগাঁও গ্রামের মহিম মিয়া (১৮), পশ্চিম বড়কাঁপন গ্রামের আরশ আলী (৫৮), চরমহল্লা ইউনিয়নের চরদুর্লভ গ্রামের আব্দুস সামাদ (২৫); দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রণভূমি গ্রামের তারা মিয়া (৩০), ফতেপুর গ্রামের মিলন মিয়া (১৪) এবং তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের কুকুরকান্দি গ্রামের রমজান আলী (১৬)।
আহত হয়েছেন তাহিরপুরের মুকিদ মিয়া (২৫) ও দোয়ারাবাজারের নিজাম উদ্দিন (৩০)।
মৌলভীবাজার: জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় আজ দুপুরে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন শ্রীমঙ্গলের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা মতলব মিয়ার ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৩০) এবং কমলগঞ্জ উপজেলার শম শব্দকর(৪২)।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, দুপুরে হাইল হাওরে কয়েকজন মিলে ধান কাটতে যান। এ সময় বজ্রপাতে রিয়াজ উদ্দিন নিহত হন এবং আহত হন জাহেদুর মিয়া ও কাবিল মিয়া। তারাও উপজেলার সদর ইউনিয়নের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর গ্রামে সকালে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান শম শব্দকর। তিনি মঙ্গলপুর এলাকার জিতেন্দ্র শব্দকরের ছেলে। কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। সরকার ঘোষিত সহযোগিতা পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।