অনলাইন ডেস্ক: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর প্রথম দিন ১২ হাজার মোটরসাইকেল পার হয়েছে। একইসঙ্গে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় মোটরসাইকেল থেকে টোল আদায় হয়েছে ১২ লাখ টাকার বেশি।
একশ’ টাকা টোল দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পারি দিয়ে ঈদে বাড়িতে যেতে পারায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৪২টি মোটরসাইকেল পদ্মা সেতু পার হয় বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল।
এরমধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজা দিয়ে ৮ হাজার ৮৭৩টি মোটরসাইকেল দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। আর শরীয়তপুরের জাজিরা টোল প্লাজা দিয়ে ৩ হাজার ১৬৯টি মোটরসাইকেল ঢাকার দিকে আসে।
দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার ভোর থেকে সেতুতে মোটরসাইকেলের চাপ লক্ষ্য করা যায়। মোটরসাইকেলের জন্য সেতুতে আলাদা লেন করে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, সেতুর ওপর লেন ক্রস করায় মনির ও ইসমাইল নামে দুই মোটরসাইকেল ৩ হাজার করে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার রহমান আল-মামুন বলেন, আমরা দৃশ্যমান গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাইনবোর্ড দিয়ে, বিলবোর্ড দিয়ে, বিভিন্ন ইনডিকেটর দিয়ে, স্টিকার লাগিয়ে নানাভাবে আমরা চেষ্টা করেছি যাতে চালকরা তাদের রুটটি চিনে নিতে পারে। তারা যাতে মূল হাইওয়েতে না ওঠে সেজন্যই এতসব।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় চাই ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিরাপদে বাড়ি যাক। কিন্তু কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তখনই কিন্তু সমস্যা হয়। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
টিএমবি/এইচএস