মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম আর নেই।
অদ্য বৃহস্পতিবার(১৯ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টায় তিনি মারা যান।
১৯৬৮ সালে তার নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলের থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠিত হয়। ১৯৭০ সালে ৬ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার সামরিক আইনে জয় বাংলা তথা পাকিস্তান ভাঙ্গার অভিযোগে তাকেসহ অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার কারাগারে প্রেরণ করে। কিন্তু জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আন্দোলনের মুখে পাক সরকার পরদিন তাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ততকালীন পাক সরকার।
জয় বাংলা মামলার তথা পাকিস্তান ভাঙ্গার চার আসামী মধ্যে তিনজনই শেষ হয়ে গেলেন। তাদের মধ্যে বাকি ৩ জন হলেন সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেন্দ্র দত্ত, এস এ মুজিব ও মোহাম্মদ শাহজাহান ।
তিনি ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন সর্বোপরি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালের পরপর দু’বার পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
জাতীয় সংসদে নির্দলীয় প্রার্থীদের পাস করানোর অনেক কিছুই তিনি করেছেন।
১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান ছিল অপরিসীম।
১৯৭১ সালে ভারতের বিএলে ব্যস্ততা মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে ভারতের ট্রেনিং নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার ধারক বাহকদের সংকীর্ণমনা রাজনীতির কষাঘাতে তাঁর মুক্তিযোদ্ধাদের তলিকার আবেদন শ্রীমঙ্গল থানা যাচাই-বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত তথ্য মেনেনি বলে দ্বিধা বিভক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছিল। মৃত্যুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত আক্ষেপ নিয়ে দুনিয়া ত্যাগ করতে হয়। আক্ষেপ মহান স্বাধীনতার অংশীদারিত্বে থেকে ও মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকায় নাম বাতিলের বিষয়ে ব্যথিত চিত্তে এক কিংবদন্তির চিরবিদায়।