ডিমলায় কৃর্তপক্ষের কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই সরকারি প্রাথমিক স্কুল মাঠ থেকে ২টি ইউক্যালিপটাস গাছ কর্তন করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় খালিশা চাপানি ইউনিয়নের কাকিনা চাপানি মিলন ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পরিষদ সদস্যসহ ৮ জন সাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং অফিসার ইনচার্জ ডিমলা থানার দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত ওই দাতা সদস্যর দাবী গাছগুলো স্কুল মাঠের নয় ওই গুলো তার স্কুল সংলগ্ন নিজ জমির। আর স্কুল কৃর্তপক্ষ বলছে আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যালয়ের শোভা বর্ধন ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রখর রুদ্রতাপ থেকে বাঁচানোর জন্য সাবেক প্রধান শিক্ষক শ্রী সুধীর চন্দ্র রায় স্কুল মাঠে ইউক্যালিপটাস সহ ফলজ ও বনজ জাতীয় বৃক্ষরোপণ করেন। এর মধ্যে ২টি ইউক্যালিপটাস গাছ যা বর্তমানে প্রতিটি টাকার অংকে প্রায় ১০ হাজার টাকার মত হবে। কিন্তু এমতাবস্থায় ওই স্কুলের জমিদাতা সদস্য সবিন্দ্রনাথ রায়, সহ-সভাপতি সুশান্ত কুমার রায় ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য বিকাশ চন্দ্র রায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই ২টি গাছ ইতিমধ্যে কর্তন করে নিয়ে গেছেন এবং বিক্রি করে সম্পূর্ণ টাকা পকেটস্থ করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবাদ জানালে তাদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও তাদেরকে মামলাতে জড়ানোর হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত দাতা সদস্য সবিন্দ্রনাথ রায় জানান, গাছ কেটেছি এটা সত্য। তবে আমি আমার নিজ জমির গাছ কেটেছি। জমি মেপে যদি স্কুল মাঠের গাছ হয় তবে তা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আনুযায়ী স্কুলের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু এই ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি করেছেন অভিযুক্তরা। এতে শিক্ষকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবিবুল ইসলাম জানান, স্কুল মাঠের গাছ গুলো কেটে নেয়ার পর আমি আমার উর্ধতন কৃর্তপক্ষ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করি তিনি  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিলে আমি আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনা শুনার পর আইনানুগ প্রতিকার পেতে ডিমলা  থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই স্কুলের গাছ গুলোতে সরকারী সম্পদ,তা বিনা অনুমতিতে কেউ কর্তন করতে পারেনা।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লাইছুর রহমান  জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং একজন অফিসারকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের ।
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version