মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে গণধর্ষণ মামলার ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
অদ্য শনিবার (১৫ এপ্রিল) ধর্ষকদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে অভিযুক্ত ধর্ষকরা ধর্ষণের দায় আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
থানা পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, শুক্রবার( ১৪ এপ্রিল) ইফতারের পর ছন্ধ নাম শেফালী (২৩) সিলেট জেলার ওসমানীনগরের গোয়ালা বাজার হইতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় তাহার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন অভিযুক্ত ধর্ষক সেলিম তাহার সিএনজি নিয়ে শেফালির সামনে এসে তাকে মৌলভীবাজার চাঁদনী ঘাটে এনে কুলাউড়ার বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে তুলেন। অভিযুক্ত ধর্ষক সেলিম শেফালির কথা মতো চাঁদনী ঘাটে না এসে শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় শ্রীমঙ্গলের ভৈরবগঞ্জ বাজারে আসার পর সিএনজি চালক সেলিম তাহার সিএনজি গাড়িটি দাঁড় করায়। তখন চালক সেলিম এর সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পনা মত ভৈরবগঞ্জ বাজারে থাকা ৫ জন অভিযুক্ত ধর্ষকরা শেফালিকে মাজদিহি চা বাগানে নিয়ে রাত্র অনুমানিক ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণের শিকার হয় শেফালি।
এদিকে ঘটনার সংবাদ জানাজানি হলে তাৎক্ষনিক ভাবে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এ,কে,এম ফজলুল হক অন্যান্য অফিসার ফোর্সের সহায়তায় অভিযানে চালিয়ে সিএনজি চালকসহ অপর একজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওসমানীনগরের মতিরগাও এর বাসিন্দা মৃত মতলেব মিয়ার ছেলে সেলিম(৩৩) ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাজদিহি চা বাগানের বাসিন্দা রাম গবিন এর ছেলে হৃদয় নুনিয়া (২০)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় ধর্ষিতা শেফালি বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করলে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। শনিবার (১৫ এপ্রিল) অভিযুক্ত ধর্ষকদের মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হলে ধর্ষক হৃদয় নুনিয়া মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ধর্ষকদের কারাগারে পাঠানো হয়।