মসজিদ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জলিল মিয়া (৬২) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চাটেরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জলিল মিয়া ওই গ্রামের মৃত ছখাত মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চাটেরা জামে মসজিদের জায়গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের জলিল মিয়া ও ইয়াছিন মিয়াদের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের ২০ হাজার টাকার হিসাব নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় স্থানীয় মুসল্লিরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেন। পরে এ ঘটনার জের ধরে ইফতারের পর জলিল মিয়াকে তার বাড়ির সামনের রাস্তায় একা পেয়ে ইয়াছিন মিয়া ও তার ভাতিজা তারেকুল ইসলাম তারা মিয়াসহ একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় জলিল মিয়ার চিৎকারে তার ছেলে রনি মিয়া, শাহিদ মিয়া ও ভাগিনা সাঈদ আহমদ ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তাদেরকেও ধারালো দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। পরে নিহত জলিল মিয়াসহ আহতদের স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জলিল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত রনি মিয়া ও ইয়াছিন মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এজি হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। নিহত জলিল মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম জানান, ইয়াছিন ও তার ভাতিজা তারা মিয়াসহ তাদের আত্মীয়রা নির্মমভাবে দা দিয়ে কুপিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। তারা আমার ছেলেদেরও কুপিয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন জানাই তাদের ফাঁসি চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মনির জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে জমি ও মসজিদের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন বলেন, নিহতের ছেলে বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।