মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অভিযানে চুরি হওয়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের মালামালসহ চুরির ঘটনায় জড়িত দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মাঝে একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী রয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন ছন্দু মিয়া (৩৬) এবং হাবিবুর রহমান।
আটককৃতদের কাছ থেকে চোরাই মালামালের পাশাপাশি চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
থানা সুত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১ টা হতে ৫ টার মধ্যে যে কোন এক সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন সিন্দুরখান ইউপির দুর্গানগর এলাকা থেকে ১টি ১০ কেভিএ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনার পরই পুলিশ চোর চক্রের সন্ধানে তদন্তে মাঠে নামে। গোপন তথ্যের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই রাকিবুল হাছান ও এসআই সজীব চৌধুরী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন আঐ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো: ছন্দু মিয়াকে(৩৬) তার বসতবাড়ি থেকে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত ছন্দু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ১০ এপ্রিল রাতে তার কয়েকজন সহযোগীসহ তারা ট্রান্সফরমারটি চুরি করে। চুরি করা ট্রান্সফরমারের কিছু তামার তার দুর্গানগর গ্রামের হাবিবুর রহমান এর ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করে এবং কিছু তামার তার জনৈক হাবিবুর রহমান পাগলার নিকট আছে।
এরপর ছন্দু মিয়াকে সাথে নিয়ে দুর্গানগর গ্রামের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানকে তার বসত ঘর থেকে আটক করা হয় এবং দুর্গানগর বাজারস্থ তার ভাঙাড়ি দোকান থেকে সাক্ষীদের সম্মুখে ট্রান্সফরমারের ছয় কেজি তামার তার উদ্ধারপূর্বক ১৩ এপ্রিল রাত ১ টা ৩৫ মিনিটের সময় জব্দ করা হয়।
বাকী চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য গুলগাঁও গ্রামের হাবিবুর রহমান পাগলার বসতবাড়িতে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাবিবুর রহমান পাগলা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজনদের সম্মুখে হাবিবুর রহমান পাগলার বসত ঘরে তল্লাশী করে আরও ৪কেজি তামার তার উদ্ধার করা হয়। এসময় হাবিবুর রহমান পাগলার ঘর থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত ১ টি লোহার তৈরী ১৮” বোল্ট কাটার, ১ টি লোহার তৈরী ১৪” বোল্ট কাটার, ১ টি কাঠের হাতল যুক্ত হাতুড়ি, লোহার তৈরী ১টি ১৮” পাইপ রেঞ্জ, ২টি ১০” স্লাইড রেঞ্জ, ব্লেডসহ ১টি হেস্কো ফ্রেম, ১টি স্টার স্ক্রু ড্রাইভার ১১” এবং ১টি ওয়েট মিটার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, এ ঘটনায় আটককৃত এবং পলাতক ব্যক্তিদের আসামি করে শ্রীমঙ্গল থানায় বিদ্যুৎ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের পুলিশ প্রহরায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।