নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির পরপরই চিহিৃত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা হামলা চালিয়ে মারাতœক জখম করেছে। এঘটনায় আরিফকে বাচাঁতে শহিদার রহমান শুভ এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করা হয়। দুজনই এখন ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় শহর জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নীলফামারী থানায় লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নীলফামারী শহরের শিশু একাডেমীর সামনে সোমবার সাড়ে ৭টায় মিজানুর টি স্টলের পার্শ্বে দাড়িয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন ও শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদার রহমার শুভ সাংগঠনিক আলোচনা করছিল। হটাৎ করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি শোটা হাতে নিয়ে শহরের শাহীপাড়ার ফরিদ আহমেদের পুত্র সুফল ইসলাম, রফিকুল ইসলামের পুত্র শারাফাত শাহী ও ফারুক হোসেনের পুত্র ইমন ইসলাম এবং নিউ বাবুপাড়ার গেীতম কুন্ডুর পুত্র রিদয় কুন্ড ও অসীত কুন্ডুর পুত্র তীর্থ কুন্ডু অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আরিফ হোসেনের ডান হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি আঘাত করে। তাকে বাচাঁতে শহিদার রহমার শুভ এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করা হয়। এতে শুভর নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে মেয়াদ উত্তির্ণ কমিটি দিয়ে চলছে জেলা ছাত্রলীগ। সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেলের বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কলেঙ্কোরিসহ বিস্তর অভিযোগ। তার এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে মোখিক অভিযোগ করি। পরবর্তীতে আপেল আমার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটিতে মিথ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ দেয়। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক যাচাই না করে আমাকে দলীয় পদ থেকে ১০এপ্রিল অব্যাহতি প্রদান করে। অব্যাহতির চিঠি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে প্রচার হয়। তার কিছু পরেই আমার উপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদার রহমার শুভ বাদী হয়ে বুধবার ৫জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫জনকে আসামী করে নীলফামারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তারুল আলম মুঠোফোনে জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি যেনে জানাতে পারবো।