অনলাইন ডেস্ক: সততা নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম করলে মানুষ কোটিপতি হতে পারে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শহরের নওধার এলাকার আজহার উদ্দিন। এক সময় তাদের পরিবারের তিন বেলা আহার জোগাতে হিমশিম খেতে হতো। বর্তমানে সেই আজহার উদ্দিন এখন স্বপ্ন বুনছেন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণের। ঢাকা শহরের ফুটপাতে চা বিক্রেতা আজহার উদ্দিন আজকের রাজা মামা হয়ে উঠার পেছনে রয়েছে দুঃখ কষ্টের করুন কাহিনী।
যুবক বয়সে রাজা জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান দুবাই শহরে। সেখানে এক চায়ের দোকানে কাজ করতেন। দুবাইয়ে কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পারেননি তিনি। দুবাই থেকে দেশে ফিরে শুরু করেন চায়ের ব্যবসা। ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় প্রথমে পাঁচ টাকা কাপ চা বিক্রি করেন তিনি। কিছুদিন পরে আবুধাবিতে শিখে আসা রেসিপি দিয়ে বিভিন্ন আইটেমের চা বানাতে শুরু করেন । এখান থেকেই শুরু হয় তার ভাগ্য পরিবর্তনের পালা। বাংলাদেশও দেশের বাহিরের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম হন তিনি।
বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলে তার চা বিক্রেতার খবর প্রচারিত হয়। এখন সারাদেশে তার আবুধাবির স্টাইলে তৈরি করা বালির চা ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বিদেশী স্টাইলে চা বিক্রেতা আজাহার উদ্দিন রাজা তার গ্রামের বাড়িতে ত্রিশাল পৌরশহরে নওধার এলাকায় পিতার থাকার জন্য তিন তলা ফাউন্ডেশনের দুই ইউনিটের একটি ব্যয় বহল বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন।
রাজার পিতা বয়স্ক আলিমুদ্দিন বলেন, আমার জীবনটা ছিল দুঃখ কষ্টে ভরা। অর্থের অভাবে আজাহারকে লেখাপড়া করাতে পারিনি। বিদেশ গিয়েও কোনো কিছু করতে পারেনি। বর্তমানে নিজে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি খুবই খুশি। আমি দোয়া করি ভবিষ্যতে সে আরো উন্নত ভাবে জীবন যাপন করবে।
আজহার উদ্দিন রাজা বলেন, আমার পিতা কুঁড়ে ঘরে থাকে। বাবার জন্য তিন তলা ফাউন্ডেশনে একটি বাড়ি করে দিচ্ছি। বাবা যেন বাকি জীবনগুলো আরাম-আয়েশে থাকতে পারেন। এছাড়াও রাজা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে বলেন ইতিমধ্যেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের পাশে জমি ক্রয় করেছি। ওখানে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে নজরুল মিউজিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
টিএমবি/এইচ