মশিউর রহমান , জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হাত-পা বেঁধে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী, দেবর, শশুর – শাশুরীর বিরোদ্ধ।
পুলিশের সহায়তায় নির্যাতিতা রত্না বেগমকে (৩২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের কদুলা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্র জানায়, কদুলা গ্রামের মফিজ মণ্ডলের ছেলে মজিবর রহমান (৩৮) এর সাথে একই ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের মমতাজ আলীর মেয়ে রত্না বেগমের প্রায় ১৭ বছর আগে বিয়ে হয়। উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো। সেই দাম্পত্য কলহের জেরে সোমবার রাতে গৃহবধূ রত্না বেগমকে পিঠমোড়া দিয়ে হাত-পা বেঁধে স্বামী মজিবর রহমানসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন দফায় দফায় মারপিট করে।
মধ্যরাতে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রত্না বেগম জানান, স্বামী মজিবর ইতোপূর্বে দুইবার তাকে তালাক দেন, তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করে তারা সংসার করছেন। সম্প্রতি তিনি শুনতে পান যে, শুক্রবার তার স্বামী অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে রত্নাকে বেঁধে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে শ্বশুর মফিজ মণ্ডল, শ্বাশুড়ি মালেকা বেগম, দেবর আলতাফসহ অন্তত ১০-১৫ জন মিলে স্বামীর সাথে অংশ নিয়ে সারারাত দফায় দফায় নির্যাতন করে।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দ্যা মেইল বিডি/এইচএসএস