দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় হয়নি ফলনের কোনো বিপর্যয়। ইতোমধ্যে বাজারজাতও করছেন চাষীরা। দামও ভালো পাওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বছর তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষকরা। আগামীতে আরও বেশি জমিতে তরমুজ আবাদের পরিকল্পনা করছেন তারা।
এ নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,অত্র উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কাঁকড়াকান্দা গ্রামের অনাবাদি জমিকে আবাদ করে কৃষি জমি সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো বেশি পরিমাণে তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছর ১২ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,চাষিরা ব্যস্ত ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলতে। বিস্তৃত লতায় ধরেছে বড়,মাঝারি আর ছোট সাইজের তরমুজ। এমন বাম্পার ফলনে তরমুজ চাষীদের মুখে ছড়িয়ে পড়েছে হাসির ঝিলিক। প্রতিদিন তরমুজ ক্ষেত থেকে উৎপাদিত তরমুজ পাইকারি ক্রেতারা এসে নিয়ে যাচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন পেয়ে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন চাষিরা। অন্যদিকে রমজানে তরমুজের বাড়তি চাহিদার থাকলেও অন্যান্য অঞ্চল থেকে দুর্গাপুরের হাট-বাজারে প্রচুর তরমুজ আসায় খুচরা বিক্রি করতে পারছেন না তারা। এখানকার তরমুজ যদি নিজ এলাকায় বিক্রি হতো তাহলে আরও বেশি দাম পেত চাষীরা।
কাকড়াকান্দা গ্রামের তরমুজ চাষি নুরুল হক বলেন, এ বছর তরমুজ ভালোই হইছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বড় কোনো ঝড়ঝাপটা না হওয়ায় আমরা জমি থেকে ভালোই ফসল পাইছি। অনেক ক্রেতাই জমি থেকে ফসল কিনে নিয়েছে। আমরা ছোট বড় মাঝারি তরমুজ প্রতি পিস ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। স্থানীয় বাজারে নিলে হয়তো আরো বেশি দাম পাইতাম।
কবির হোসেন বলেন,কৃষি অফিসের অনুপ্রেরণায় এই প্রথম পতিত জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এ তরমুজ চাষে সফলতায় আগামী মৌসুমে আরো ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান বলেন,তরমুজ চাষে লাভ বেশি। এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষের সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। আমরা আশাবাদী আগামী মৌসুমে ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষ হবে।