প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তবে অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শ্রাবন্তীর জিম সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন সেখানকার সদস্যরা। কিন্তু অভিনেত্রী মাঝরাতে জানালন, তার নামে যা রটেছে তা সঠিক নয়।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে শ্রাবন্তী লেখেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু ভুলভাল অভিযোগ উঠছে বলে জানতে পেরেছি, যার কোনো ভিত্তি নেই। বলা হচ্ছে আমি নাকি অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সবাইকে বলতে চাই, আমি এমন কিছু করিনি। উল্টো আমাকে ঠকানো হয়েছে; টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। আইনের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি নিশ্চিত সত্যিটা সামনে আসবে। ধন্যবাদ।
যদিও ওই পোস্টে জিম শব্দটি একবারো উচ্চারণ করেননি শ্রাবন্তী। তবে যেহেতু সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই পোস্ট করেছেন, তাই তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি নেটিজেনদের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মধ্যমগ্রামে একটি জিম খুলেছিলেন শ্রাবন্তী। জিমের চারজন পরিচালকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
নিজে ভিডিও বার্তা দিয়ে ঘোষণাও করেছিলেন শ্রাবন্তী। উদ্বোধনও হয়েছিলো অভিনেত্রীর হাতেই। সেলিব্রিটির জিমে ভর্তি হওয়ার হিড়িকও দেখা গিয়েছিলো। উদ্বোধনের সময়ে অফার দেয়া হয়েছিলো। এ বছরের গোড়াতেও ফের নতুন অফার দেয়া হয়। যেখানে বছরে এই জিমটিতে লাগে ১৮ হাজার রুপি।
গত জানুয়ারিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হয়েছিলো, সাড়ে সাত হাজার রুপি দিলেই ভর্তি হওয়া যাবে। যদিও পরে আবার ব্যক্তিগত ট্রেনার রাখার জন্য আরো চার হাজার রুপি করে নেয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু হঠাৎ করেই দোল-হোলির জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় জিম সেন্টারটি।। জানা গেছে, শপিংমলের ফ্লোর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকাতেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আর তাই সম্প্রতি ওই জিমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জিম ট্রেইনিরা। তাদের অভিযোগ, সারা বছরের টাকা নিয়ে নেয়ার পর সেই সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও ওই অভিযোগপত্রে জিমের অন্যান্য মালিকদের নাম থাকলেও শ্রাবন্তীর নাম ছিলো না। কিন্তু তারকামুখ হওয়ার জন্য ও জিমের মালিক হওয়ার জন্য কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পাননি অভিনেত্রী।
এ বিষয়ে অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে শ্রাবন্তী বলেন, ছয় মাস আগে ওই জিমের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি পাবলিক ফিগার হওয়ার কারণে আমার নাম জড়িয়েছে। বাকি অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, এপ্রিলের মধ্যেই সদস্যদের টাকা ফেরত দেয়া যাবে।
দ্যা মেইল বিডি/এইচএসএস