মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলীর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ না থাকায় বারবার ঘটছে ইভটিজিংসহ গণধর্ষণের ঘটনা। এ কারণে আগের থেকে এখন প্রতিনিয়ত পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন খ্যাত টেংরাগিরি ম্যানগ্রোভ বনের আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৩ একর। বনে ১০-১১ ও ১১-১২ অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয় টেংরাগিরি ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্র। যা ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
ইকোপার্কে দেখা মেলে মায়াবী হরিণ, কাঠবিড়ালি, কুমির, বানরসহ নানা ধরনের বন্যপ্রাণী ও সুন্দরবনের হাজারও রকমের গাছ। এসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার পর্যটক আসতো এখানে।
অন্যদিকে সাগরের মোহনায় সন্ধ্যায় পর্যটন কেন্দ্রে বসে দেখা মিলে সূর্যি মামার অস্ত যাওয়া। রয়েছে সারি সারি ঝাউ গাছ, বাতাসের শো শো শব্দ, চারিদিকে পানির থৈ থৈ ঢেউ দেখে জুড়িয়ে যায় পর্যটকদের মন প্রাণ। আশপাশে রয়েছে আরও ছোট ছোট পর্যটন কেন্দ্র।
সচেতন মহল জানান, এইসব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশ না থাকায় চুরি ছিনতাইসহ নানান অপরাধ সংগঠিত হয় এখানে। এমনকি ২০২০ ও ২১ সালে দুটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এখানে। সচেতনতা না থাকায় মোহনায় গোসল করতে নেমে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বেশ কিছু।
দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আশা পর্যটকরা জানান, এখাকার মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য আতংক নিয়ে উপভোগ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের সভাপতি আরিফ রহমান বলেন, টুরিস্ট পুলিশ ক্যাম্প না থাকায় নিরাপত্তা হীনতার কারণে এসব পর্যটন কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পর্যটকরা।
সুরঞ্জনা ইকো পার্কের পরিচালক অ্যাডভোকেট সাংবাদিক সোহেল হাফিজ বলেন, আমাদের বরগুনা একটি পর্যটনজেলা হিসেবে পরিচিত। এ জেলায় বেশ পর্যটন এরিয়া রয়েছে। কিন্তু আমাদের যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় পর্যটনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পর্যটকরা।
টুরিস্ট পুলিশের বিষয় বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম জানান, টুরিস্ট পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। আর ক্যাম্প স্থাপনের আগ পর্যন্ত থানা পুলিশ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখছেন।