তুষারধসের নীচ থেকে উঁকি মারছিল একটি ‘স্নো বোর্ড’। ওই পথ ধরেই স্কি করছিলেন এক যুবক। পাইন গাছের নীচে প্রায় ৩ ফুট বরফের নীচ থেকে ‘স্নো বোর্ড’টি দেখেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, বরফের নীচে কেউ এক জন চাপা পড়ে আছেন।
তিন ফুট সমান সেই বরফ সরাতে সরাতে এগিয়ে গেলেন ওই ‘স্নো বোর্ড’টির দিকে। প্রথমে হালকা টান দিতেই বুঝলেন, শুধু ‘স্নো বোর্ড’ নয়, সেটির সঙ্গে মানুষও রয়েছে।
এর পরই হন্তদন্ত হয়ে হাত দিয়ে বরফ সরাতে শুরু করলেও ওই যুবক। হাতখানেক বরফ একটু একটু করে সরাতেই চাপা পড়ে যাওয়া মানুষটির পায়ের একটা অংশ দেখতে পেলেন। তখনও তিনি বুঝতে পারছিলেন না, আদৌ ওই ব্যক্তি বেঁচে আছেন না তার মৃত্যু হয়েছে। তবুও আশা নিয়ে তিনি দ্রুত বরফ সরাচ্ছিলেন।
প্রতিকূল পরিবেশে বেশ কষ্টই হচ্ছিল তার। তার উপর উদ্ধারকারী ওই যুবকের শরীরে বেশ কিছুটা অংশ আবার ওই বরফেই ঢুকে গিয়েছিল।
অনেক কষ্টে নিজের ব্যাগ থেকে একটি বেলচা বার করেন যুবক। তার পর সেই বেলচা দিয়ে বরফ সরাতেই চাপা পড়ে থাকা মানুষটির একটা হাত দেখতে পান। হাতটি নড়ে ওঠে। তখন তিনি আবার বেলচা দিয়ে দ্রুত বরফ সরাতে শুরু করেন। তখনও চাপা পড়ে থাকা মানুষটির মাথা দেখতে পাচ্ছিলেন না উদ্ধারকারী যুবক। কিন্তু থেমে থাকেননি। বরফ সরিয়ে শেষমেশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।
রুদ্ধশ্বাস উদ্ধারের সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যা দেখে শিউরে উঠতে হবে। তুষারধসের নীচে চাপা পড়েও যে ওই ব্যক্তি বেঁচেছিলেন, তা সত্যিই অকল্পনীয়।
ভিডিওটি দেখুন…
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট, আনন্দবাজার
মেইলবিডি/টিএমবি