ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জিতেও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারেননি জায়েদ। এ নিয়ে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে তাকে। সাধারণ সম্পাদক এ পদ নিয়ে মামলা এখনো চলমান। এরই মধ্যে এবার সমিতির সদস্যপদ হারাতে বসেছেন দুইবারের সাধারণ সম্পাদক থাকা এই অভিনয় শিল্পী। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে তার বিরুদ্ধে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটি শিল্পী সমিতির সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করেন জায়েদ খান। তিনি অভিনেত্রী নিপুণ বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন ১ এপ্রিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
জায়েদ সেখানে আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ওই নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। মাননীয় আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি ‘frustrate’ করার অসৎ উদ্দেশ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে। আমার সদস্যপদ নিয়ে যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। ওই অবৈধ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’