অনলাইন ডেস্ক: ৬ বছর আগে বিদেশে চলে যান গৃহবধূর স্বামী। এরপর থেকে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন কামাল হোসেন। একপর্যায়ে কামালের কুপ্রস্তাবে রাজি হন গৃহবধূ। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন কামাল। এতে অন্তঃসত্ত্বা হন ওই গৃহবধূ। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্বামীর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে তাড়িয়ে দেয়। কোনো উপায় না পেয়ে কামালের বাড়িতে উঠলে পরদিন মারা যায় নবজাতক। এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই গৃহবধূ।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। শুক্রবার রাতে ওই মামলায় র্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে কামালকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, ৬ বছর আগে ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমের স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে ভিকটিম গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন কামাল হোসেন। একপর্যায়ে ভিকটিম আসামির কুপ্রস্তাবে রাজি হলে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন অভিযুক্ত। এতে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন ভিকটিম। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্বামীর বাড়ির লোকজন ভিকটিমকে তাড়িয়ে দেয়। ভিকটিম কোনো উপায় না পেয়ে আসামির বাড়িতে উঠলে ভিকটিমের সন্তানকে অস্বীকার করেন কামাল।
তিনি আরো জানান, পরে কামালের মা ভিকটিমকে তার ঘরে নিয়ে যান। রাতে সেখানে ভিকটিম তার সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে মুখ থেকে ফেনা বের হয়ে মারা যায় নবজাতক। এরপর ভিকটিম বাদী হয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানায় কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। শুক্রবার রাতে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন কামাল।
টিএমবি/এইচএস