স্টাফ রিপোর্টার : রামদার কোপে নেত্রকোনা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতির ছেলে পরোয়ান অপুকে (৩৩) রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের ছেলের বিরুদ্ধে। ফেরাতে গিয়ে তার ভাই আ. মোমেন (৩৫) আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আকাশ প্রায় ছয় বছর আগে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র চাঞ্চল্যকর ইফতি হত্যা মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নেত্রকোনা পৌরশহরে বারহাট্টা রোড়স্থ মটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের ঘটনায় গুরুতর আহত দুজনকে প্রথমে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে অপুর মাথায় কোপের তীব্রতা বেশি থাকায় অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহত অপু মিয়া ওই সংগঠনের সভাপতি মো. আ. কদ্দুসের ছেলে এবং পৌরশহরের বাহিরচাপড়া এলাকার বাসিন্দা। পক্ষান্তরে অভিযুক্ত আকাশ (২৭) একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং পৌরশহরের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
আহতদের বড় ভাই মো. সোহেল রানা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত করে হত্যার উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতেই শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় আকাশসহ সাইমন, রাসেল, রাহুল ও নয়ন মিয়া নামের পাঁচ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত তিনদিন পূর্বে জেলার পারলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকদের ইফতার পার্টিতে অপু ও আকাশের মধ্যে বাদানুবাদ ঘটে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে তাদের ইফতার পার্টি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এর কিছুক্ষণ আগে অপু প্রতিপক্ষকে ইঙ্গিত করে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। পরে দলবল নিয়ে আকাশ রামদা দিয়ে অপুর মাথায় কোপ মারেন এবং ফেরাতে গিয়ে তার বড় ভাই মোমেন জখম প্রাপ্ত হন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক পাঁচজনকে আহতদের বড় ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় শনিবার দুপুরের দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।