মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আবু বক্কর (৩৩) নামে এক সুপারী ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু বক্করের স্বজনদের অভিযোগ, সুপারী চুরির অভিযোগ করায় অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন গংরা তার ওপর হামলা করেছে।

গত ২৪ মার্চ বিকেলে বড়লেখা পৌরশহরের রেলওয়ে মার্কেটের সুপারী আড়তে এই ঘটনা ঘটেছে। হামলার দৃশ্যটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। আহত আবু বক্কর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বক্কর উপজেলার তালিমপুর গ্রামের আব্দুস শুকুরের ছেলে।
এই ঘটনায় আহত বক্কর বাদি হয়ে হামলাকারী উপজেলার তালিমপুর গ্রামের মৃত নেওয়ার আলীর ছেলে অটোরিকশা চালাক জাকির হোসেন তার ভাই হাসান মিয়া ও ফয়েজ উদ্দিন এবং ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে নাইম আহমদের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা থানায় লিখিত মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও রেলওয়ে মার্কেটের ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, আবু বক্কর বড়লেখা পৌরশহরের রেলওয়ে মার্কেটে সুপারীর আড়ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। গত ২১ মার্চ দিন-দুপুরে তার আড়ত থেকে সুপারী চুরি হয়। সিসি ক্যামেরায় সুপারী চুরির দৃশ্যটি ধরা পড়ে। বক্কর ঘটনাটি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির লোকজনকে জানান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অটোরিকশা চালক জাকির হোসেনকে আড়ত থেকে সুপারীর বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। বাজার কমিটির লোকজনও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ২৪ মার্চ বেলা দুইটায় পৌরশহরের লতিফ ট্রেডার্সে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে জাকির হাজির হলেও কিচ্ছুক্ষণ পর চলে যান। ওইদিন বিকেলে চারটার দিকে জাকির গংরা আবু বক্করের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও তার ওপর হামলা চালান। এতে বক্কর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান।
আহত আবু বক্কর তার ওপর হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতে বলেন, গত ২১ মার্চ হামলাকারী অটোরিক্সা চালক জাকির হোসেন আমার আড়তের পাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। একপর্যায়ে তিনি আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক বস্তা সুপারী নিয়ে যান। যার দাম ৬০-৭০ হাজার টাকা। চুরির বিষয়টি আমার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ফুটেজ দেখে ঘটনাটি আমি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির লোকজনকে জানাই। তারাও সিসি ফুটেজ দেখেছেন। গত ২৪ মার্চ বিষয়টি সমাধানের জন্য সালিশি বৈঠিক ডাকা হয়। সেখানে জাকির এলেও কিছুক্ষণ পর তিনি চলে যান। বিকেল অনুমানিক চারটার দিকে জাকির ও তার ভাইয়েরা আমার প্রতিষ্ঠানে এসে হামলা চালায়। তারা দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে আমাকে রক্তাক্ত করেছে। পরে আশপাশের লোকজন আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হামলার ঘটনাটাও সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় আমি থানায় জাকির ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
বড়লেখা থানার এসআই জিয়া উদ্দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় কথা হলে তিনি বলেন, সুপারি ব্যবসায়ী আবু বক্করের ওপর হামলার অভিযোগে তিনি থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য এলাকায় অভিযান চালিয়েছি কিন্তু আসামিদের পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আমি ছুটিতে। থানায় এসে আবারও আসামিদের আইনের আওতায় আনতে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version