আজ ৩০ শে মার্চ নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস। ময়না যুদ্ধ দিবস উপলক্ষে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) সকাল ১১টার সময় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দিয়ে দিনটিকে স্মরণ করা হয়। ময়না যুদ্ধ দিবসটিকে স্মরণ করে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসাহাক আলী।
আরও উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব আনিসুর রহমান ( আনিস) মোঃ সাইফুল ইসলাম সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ,সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা, শ্রী স্বপন কুমার পাল, সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ হারুন উর রহমানসহ আরো অনেকে। স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ময়নাযুদ্ধে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র চার দিনের মাথায় ৩০ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে শত শত মুক্তিকামী মানুষ ছুটে গিয়েছিলেন ময়না গ্রামে। এই দিনে ময়না গ্রামে উত্তরবঙ্গে সর্বপ্রথম পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর সাথে মুক্তি জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছিলো। এ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস হয় এবং বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরের দিন ৩১ মার্চ লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ময়না যুদ্ধে প্রায় অর্ধশত প্রতিরোধকারী বাঙ্গালি শহীদ ও ৩২ জন আহত হন। সেই থেকে দিবসটিকে ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস হিসাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালন করে আসলেও দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি ময়না যুদ্ধ দিবস। ময়না যুদ্ধকে উত্তরবঙ্গের সর্বপ্রথম সম্মুখ যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুদ্ধের স্থানে আধুনিক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এই যুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ তৈরী এবং প্রতিরোধকারী শহীদ ও আহত পরিবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এ উপলক্ষে ময়না স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
দ্যা মেইল বিডি/এইচএসএস