ত্রিশালে ডিম চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগের পর বাদীকে হত্যা চেষ্টা ও টাকা ছিনতাই । এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের মোঃ সাইদুল ইসলাম (৪৬)। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম। বাড়ির পাশে সাইদুলের ব্যক্তি মালিকানাধীন পোল্ট্রি ফার্ম থেকে ৩০০০ ডিম চুরির ঘটনায় থানায় জিডি করার পর এই হামলার শিকার হন তিনি।
হামলার পর ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক নিরাপত্ত্বা চেয়ে আরেকটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। অভিযোগে জানা যায়, গত ২ মার্চ রাতে পোল্ট্রি খামারের দক্ষিণ পাশের নেটের বেড়া কেটে ৩০০০ ডিম চুরি হয়। ডিম চুরির ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করার স্বার্থে ঘটনার আশেপাশের কয়েকজন কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পরে গত শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে সাইদুল ত্রিশাল যাওয়ার পথে রায়মনির হাসমতের মোড়ে তিনি এই হামলার শিকার হন। এসময় বিবাদী পক্ষের রুহুল আমিন (৫৫), এরশাদ হোসেন (৩০), আলামিন (৩৫), বাবু মিয়া (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মিলে চতুর্দিক সাইদুলকে ঘেরাও করে ও শারীরিক ভাবে আঘাত করে এবং সাথে থাকা ৫০ হাজার নিয়ে যায়। পরে আশেপাশের দোকানদার ও পথচারীরা হামলাকারীদের থেকে তাকে উদ্ধার করে। এসময় তারা সাইদুলকে ২৪ ঘন্টার মাধ্যে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ না উঠালে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেন।
এমন ঘটনায় সাইদুল ও তার পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। এই বিষয়ে সাইদুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে হত্যার হুমকির পর আমি এবং আমার পরিবারের নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছি। থানায় নিরাপত্ত্বা চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশের উপর আমাদের আস্থা আছে আমি এই ঘটনার এবং ডিম চুরির ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
মঠবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল বলেন, আমি এই ঘটনা বিবাদী পক্ষ থেকে অবগত হয়েছি তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, চুরির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছি।
ত্রিশাল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের একজনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ডিম চুরির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ নেয়া হয়েছে এবং পুনরায় ভুক্তভোগীর উপর হামলায় আরেকটি জিডি হয়েছে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীকে দ্রুত সনাক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছি।
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের উপর এরকম অতর্কিত হামলার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিল উদ্বেগের প্রকাশ করেছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এই বিষয়ে বিবাদী পক্ষের অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে ওদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে গিয়ে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই ফোন কেটে দেয়।