সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিশুদের প্রতি বন্ধুবৎসল। শিশুরা যাতে সুন্দর ভবিষ্যৎ ও সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারেন সেজন্য তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। শিশুদের অধিকার আদায়ে তিনি সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। একটি জাতির সমৃদ্ধি নির্ভর করে শিশুদের সুন্দর আগামীর ওপর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেটি সব সময় অনুধাবণ করতেন। তাই শিশুদের অধিকার ও সুন্দর আগামীর জন্য তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ গড়বে। মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক চমৎকার এই আয়োজনে শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করায় তিনি সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। এধরণের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা জাতির পিতাকে জানতে পারবে। আপনারা যারা অভিভাবক আছেন আপনাদের সচেতনতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময়ই নব প্রজন্মের কথা চিন্তা করে। সেজন্যই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ভিত্তিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাতে শিশু-কিশোররা অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারে। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার (১৭ই মার্চ) বেলা ২টা ৩০ মিনিটে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: জাকির হোসেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন শিশু-কিশোরসহ সকলের মাঝে জাগরণ তৈরি করেছে। প্রায় ৫০০ শত প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। যা নতুন একটি ইতিহাস। আজকের শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মাট বাংলাদেশ গঠনে এই শিশুরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং শিশু-কিশোরদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ও সৃজনশীল মেধা বিকাশে মহানগর আওয়ামী লীগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি শিশু-কিশোর, অভিভাবক সহ অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিম হাসান জেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র,
দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিম জুনেল, এমরুল হাসান, সৈয়দ কামাল, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সতেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সাজোয়ান আহমদ, ছয়েফ খান, সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক প্রমুখ।
কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীর জন্য সনদ পত্র প্রদান করা হয়। তাছাড়া ১৮ই মার্চ শনিবার বিকাল ৪ঘটিকায় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করা হবে।