মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হলেও বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত দেওড়াছড়া চা বাগানের ১৭৫ টি পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন থাকা পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে গত রোববার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবারে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগানের ৬ ও ৭নং লাইন, শালবাড়ি ও চন্ডিপুর এলাকায় ২০১৯ সালে বিদ্যুতায়িতের লক্ষ্যে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন টানা হলেও ১৭৫ টি পরিবারগুলো দীর্ঘ সময় থেকে বিদ্যুৎ বঞ্চিত রয়েছে।এদিকে, দেওড়াছড়া চা বাগানের বিদ্যুৎ বঞ্চিত ভোক্তভোগী মিঠুন উড়াং, রাজু উড়াং, সুমন রায়, আপন উড়াংসহ অনেকে জানান, কয়েক বছর আগে বিদ্যুতের জন্য আমাদের এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন টানা হলেও কি অদৃশ্য কারণে আমাদের সংযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে জানিনা। আমরা ডিজিটাল যুগে এসেও অন্ধকারে রয়েছি। আমাদের আশপাশের পাহাড়ি এলাকার সব জায়গায় বিদ্যুতায়িত করা হলেও কেবল আমরাই অন্ধকারে পড়ে আছি। তারা আরো জানায়, বিদ্যুতের অভাবে আমাদের অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা ঠিকভাবে লেখাপড়া চালাতে পারছেনা। পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
শিক্ষার্থী রাজু বলেন, আমরা রাতে পড়াশোনা করতে পারছিনা। এযুগে এসে কুপি জ্বালিয়ে লেখাপড়া চালাতে হবে তা ভাবতেই কষ্ট লাগছে। শুনেছি কমলগঞ্জ উপজেলাকে সরকারীভাবে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এটা কিভাবে সম্ভব?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর বলেন, বাড়িগুলোতে ওয়্যারিং এর কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় সংযোগ দেয়া যাচ্ছেনা। ওয়্যারিং সম্পূর্ণ করে বাগান কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র জমা করলেই আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দিতে পারব বলে জানান তিনি।