এইচএসসি পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ করে অনেক কাঙ্খিত ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৮৩৫ জনের ফলাফলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি বোর্ডের প্রকাশিত পুনঃনিরীক্ষণের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
২ হাজার ৮৩৫ জনের মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১৫ জন। ফেল দেখানো এক শিক্ষার্থী পেয়েছেন জিপিএ-৫। ফেল থেকে নতুন পাশের তালিকায় ঠাঁই হয়েছে ৩৯৯ জন শিক্ষার্থীর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনঃনিরীক্ষণে নতুন করে কোনো উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের যোগ-বিয়োগগুলো দেখা হয়। এতেই এতো সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এটা শুধু পরীক্ষকদের গাফিলতির কারণে হয়।
এ ব্যাপারে আন্তঃবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার বলেন, পুনর্নিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনা। এই সংখ্যাটি যদি নির্দিষ্ট পার্সেন্টের বাইরে চলে যায় তবে পরীক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করি। সব বোর্ডের তথ্য সংগ্রহ করে যদি নির্দিষ্ট পার্সেন্টের বাইরে যায় তবে চিহ্নিত পরীক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেয়া হবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী অভিযুক্ত বেশিরভাগ পরীক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অপরাধের মাত্রা বেশি হলে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এরমধ্যে যশোর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ৯৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এতে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৫ জন। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।