সবধরনের প্রতিযোগিতায় রীতিমতো উড়ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে কারাবাও কাপের শিরোপা জেতা ছাড়াও, গেল সপ্তাহে ইউরোপা লিগ থেকে বার্সেলোনাকে ছিটকে দিয়েছিল এরিক টেন হাগের শিষ্যরা।
টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকা সেই ইউনাইটেড আজ অবশ্য ডুবেছে লজ্জায়। ইংলিশ ক্লাব ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছে রেড ডেভিলসরা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এটাই সবচেয়ে বাজে হার ইউনাইটেডের। অপরদিকে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় লিভারপুলের।
ইংলিশ ফুটবলে লিভারপুল-ইউনাইটেড দ্বৈরথ বেশ পুরনো। ক্লাব দুটির সমর্থকরা যেন একে অপরের ‘শত্রু’। দারুণ ফর্মে থাকায় শত্রু লিভারপুলের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরার আশাতেই ছিল ইউনাইটেড সমর্থকরা। তবে সালাহ-নুনেজ-গাকপোর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আজ উল্টো গোল বন্যায় ভেসেছে ইউনাইটেড। এই তিন ফুটবলারই দুটি করে গোল করেছেন। রেড ডেভিলসদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ফিরমিনো।
অ্যানফিল্ডে গোল উৎসবের শুরুটা করেন কোডি গাকপো। প্রথমার্ধের শেষ দিকে অ্যান্ডি রবার্টসনের পাস থেকে দারুণ গোলে দলকে এগিয়ে দেন এই ডাচ স্ট্রাইকার। বিরতি থেকে ফিরে ইউনাইটেডকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মাতে স্বাগতিকরা। ৪৭ মিনিটে হার্বে এলিয়টের সহায়তায় ব্যবধান ২-০ গোলে করেন ডারউইন নুনেজ। তিন মিনিট পর কাউন্টার অ্যাটাক থেকে মোহামেদ সালাহর পাসে ব্যবধান ৩-০ করেন গাকপো।
এরপর ৬৬ মিনিটে সালাহ নিজেও নাম লেখান স্কোরশিটে। ৭৫ মিনিটে নুনেজ করেন তার দ্বিতীয় গোল। ৮৩ মিনিটে সালাহও দ্বিতীয়বারের মতো করেন গোল। এদিকে বদলি নেমে সালাহর দ্বিতীয় গোলে সহায়তা করার পর ফিরমিনোও নাম তোলেন স্কোরশিটে। সেই সালাহর পাস থেকেই স্কোরলাইন ৭-০ করেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে লিভারপুল। ২৫ ম্যাচ শেষে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে নিউক্যাসল ও ফুলহামকে পেছনে ফেলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। অপরদিকে, এই হারের পরও তিনেই আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২৫ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৪৯।