ফেনীতে রাতের খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে সবাইকে ঘুমে রেখে একটি পরিবারের ঘরের স্বর্নালংকার ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের হাছান আলী ভূঞা বাড়ীর আমির হোসেন ভূঞার ঘরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সবাইকে বুধবার সকালে অচেতন অবস্থায় ফেনী ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে আমির হোসেনের রান্না ঘরে দুর্বৃত্তরা খাবারের সাথে চেতনানাশক বা খুব শক্তিশালী ক্ষমতার ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেন। তারা পরিবারের সবাই রাতের ওই খাবার খেয়ে ঘুমে অচেতন হয়ে যায়। এরই মধ্যে ঘরের ছাদের দরজা কৌশলে খুলে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে স্বর্নালংকার ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠলে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঔষধের বিষক্রিয়ায় অসুস্থরা হলেন- আমির হোসেন (৭০), তার স্ত্রী ছালেহা বেগম (৬০), ছেলে শাহাদাত হোসেন, (৩০), মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫), পুত্রবধু ফারজানা শারমিন (২৭)
বর্তমানে আমির হোসেন ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি রযেছেন। অন্যদেরকে জ্ঞান ফিরে আসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উক্ত ঘটনার বিস্তারিত জানতে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান করিম উল্যাহ ও ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভুক্তভোগীদের বাড়ীতে গেছেন।
আমির হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন জানান, দুর্বৃত্তরা তাদের ঘর থেকে প্রায় ৫ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাননি।