মোঃ বাবুল হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট ক্ষেতলালে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। উপজেলার ধনতলা গ্রামের ফজলুর রহমান মিয়া বাদী হয়ে জয়পুরহাট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলো উপজেলার ধনতলা গ্রামের আদম ব্যাপারী নজরুলের ছেলে নাহিদুজ্জামন (২৪), নজরুলের স্ত্রী ঝড়না (৪০) শ্যলোক কালাই উপজেলার দুরুঞ্জ গ্রামের গোলজারের ছেলে ফেদৌস (৩৫) ও মৃত্য নবীর উদ্দীনের ছেলে নজরুল (৪৪) ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগন পরস্পর নিকট আত্ময়ী। নজরুল সৌদি আরবে আলী ইমার থাপরা আল বাতিন ছানায়া ডোর নামের একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন । এ সুবাদে নজরুলের স্ত্রী ও পুত্র স্থানীয় ধনতলা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে কাজল মন্ডলকে ভাল বেতনে সৌদি আরবে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখান। সংসারে একটু সুখের আশায় তাদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে কাজল নিকট আত্মীয়সহ সহ বিভিন্নজনের নিকট থেকে ধার দেনা করে ৫লক্ষ টাকা দেন।
কিন্তুু সৌদি আরবে গিয়ে কাজল মন্ডল জানতে পারেন তাকে টুরিষ্ট ভিসায় পাঠানো হয়েছে। তাকে কোন আকামা ( শ্রমিকের অনুমতিপত্র) ভিসায় পাঠানো হয়নি। বতমানে সেখানে আকামা( শ্রমিকের অনুমতি পত্র) না থাকা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
এদিকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব কাজলের পিতা ফজলুর রহমান নজরুলের পরিবারের নিকট টাকা ফেরত চাইতে গেলে না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকেন। এতে নিরুপায় হয়ে গত ৫/৯/২০২২ ইং জয়পুরহাট বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আদালতে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় নজরুলের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। বাঁকী আসামীরা পলাতক রয়েছে । পলাতক আসামীরা বিভিন্ন সময়ে বাদিও তার পরিবাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
একদিকে সন্তানের শোক অন্যদিকে সন্তানকে বিদেশ পাঠানোর ধার দেনার টাকার চিন্তায় অসহায় পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অপরদিকে পাওনাদারদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন তারা।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নাহিদুজ্জামান ও ফৌদোউস ও নজরুলের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করাই এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাজিবুল ইসলাম জানান, মানব পাচার মামলায় একজন কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি ,অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তারিখঃ২৮/০২/২০২৩ইং