বৃষ্টি ভেজা দিনগুলো সত্যিই খুবই একটি আনন্দময়। শহর থেকে আসলাম গ্রামের বাড়িতে। একদিন কোনো একটি কাজে বাড়ি থেকে বের হলাম। সকালে দিনটা ছিল খুবই সুন্দর আকাশে হালকা হালকা মেঘ জমেছে তখনই মনে সন্দেহ হল আজ হয়তো বৃষ্টি হতে পারে। সন্দেহতা আসলে কিছুক্ষন পর সত্যি সত্যিই হলো আকাশে মেঘগুলো একসাথে জড়িত হয়ে খুব কালো হয়ে আসছে, বয়ে যাচ্ছে শীতল বাতাস। বাতাসে মনটা খুবই ভালো লাগতে ছিল দু হাত বাড়িয়ে দি শীতল বাতাসে, রাস্তা থেকে দেখা যায় আমাদের সুন্দর এই পৃথিবীর গাছের ঢিলগুলো এদিক সেদিক ছড়িয়ে পড়ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা বাড়ি চলে যাচ্ছে আর যুবকরা দূরে দূরে যাচ্ছে বাজারে দিকে। হালকা হালকা বৃষ্টি আমার মনটা আরো বেকুল হয়ে যায় বাম দিকে একটু তাকিয়ে দেখি কয়েকটা ছেলে মেয়ে মাঠে খেলা করতেছে। এই সুন্দর দৃশ্য দেখে আমার ও মনে পড়ে যায় সে শিশুকাল। শিশুকালে বৃষ্টি হলে মাঠে খেলতাম আমবাগানে যেতাম আম কুঁড়ানোর জন্য নেই দুঃখ, কষ্ট আার চিন্তার চাপ। বাড়িতে এসে মা বকা দিতেন বাবা কিছু না বলে চুপ করে বসে থাকতেন। বাড়ির বাহিরে চারপাশে তাকালে দেখা যায় খাল, বিল, নদী নালায় পানি আর পানি। সেই ছোট্টবেলায় লুকিয়ে থাকা স্মৃতিগুলো সত্যি সত্যিই আনন্দময় একটা সময়। সে সময় ভাবতে ভাবতে হত্যাৎ দেখি তাদের মা এসে বকা দেয় শিশুরা বাড়ি চলে যায়। আর আমি ছোট্টবেলা কথা ভাবতে ভাবতে রাস্তায় একাকি হেঁটে যাচ্ছি। হেঁটে হেঁটে হত্যাৎ দেখা হলো ছোটবেলায় এক বন্ধু, দেখলাম সে আমার থেকে বড় হয়ে গেছে। দুই বন্ধু মিলে বৃষ্টি ভিজে ভিজে চলে গেলাম গ্রামে। গ্রামে ছোট একটা দোকান আছে মাঝে মাঝে ছোট বেলায় বাবা থেকে টাকা নিয়ে সব বন্ধুরা মিলে চলে যেতাম চা খাওয়ার জন্য। হে সে সময় চা খাওয়াতা ছিল খুবই মিষ্টি। বৃষ্টি এক ফুটা পানি চা সাথে মিশিয়ে খেতাম। আজকে ও দুই বন্ধু মিলে সে দোকানে গিয়ে বৃষ্টি এক ফুটার পানি চা সাথে মিশিয়ে খাচ্ছিলাম হয়তো সে ছোটবেলা দিনগুলো হারিয়ে গেছে তারপর ও স্মৃতিগুলো আজো থেকে গেছে নতুন।