মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশীদ্রোন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছেন। মুঠোফোনে জমির মাটি কেটে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন সবাই মাটি বিক্রয় করছে সেটা দেখেন না! আমারটাই শুধু দেখেন। অন্যদিকে সিন্দুরখান ইউনিয়নের দূর্গানগর নামক স্থানে সরকারি খালের পাড়ের মাটি সহ বোরো ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির ধুম। সরকার খাদ্যের খাটতির কথা মাথায় রেখে একদিকে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে তিন ফসলি জমিতে সরকারি কোন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন না করতে ও নির্দেশ প্রদান করে। আর অপরদিকে সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রির হিড়িক পড়েছে খেকোদের। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বোরো ফসল রুপনের সময়ে শুরু হওয়া মাটি কাটা ও বিক্রি করা, এতে করে আশেপাশের কৃষক বোরো চাষে ও বিরাট ধাক্কার মুখোমুখি হতে হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষক কান্না ভড়া কন্ঠে অভিযোগের সুরে বলেন, তিন ফসলি জমির মাটি এভাবে কেটে বিক্রি করে পুকুর তৈরি করে ফেলেছে। ফলে পাশের জমি আমার হওয়াতে জমির মাটি ভেঙে গর্ত জমিতে ভড়াট হবে। এতে করে বোরো ধানের চাষ করতে ও পারিনি। শুধু আমার এই না এমন আশেপাশের জমিতে দেখছেন কি অবস্থা! কোন জায়গায় জমি চাষ করবো!
এ বিষয়ের অভিযোগ জেনে মাটি খেকো ফারুক মিয়া (গুলগাও) মূঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি সব কিছুর অনুমতি নিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছি। এতে করে আমার কোন অসুবিধা নাই বলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
এ বিষয় কথা বলতে শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদারকে অবগত করে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি দেখছন এবং এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আস্বস্ত করেন। জমির উপরের অংশের উর্বর মাটি বিক্রয় করার ফলে ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পরবে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। মাটি, বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না কোন ভাবে!
জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ভালো মানুষের মুখোসের আড়ালে সিন্ডিকেট তৈরি করে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে আইন ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে প্রকাশ্যে, রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি বিক্রি, বালু বিক্রি করে চলেছে। কোন কিছুর তোয়াক্কা নেই!