আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি।।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কিস্তাকাঠি এলাকার যুবক রহিম সিকদার । তার বাবার সাথে ৩০০ শতাংশ জমিতে কুল চাষ করে এখন আত্মনির্ভরশীলতার পথে।
শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে কীভাবে নিজে আত্মনির্ভর হওয়া যায় এরজন্য তার বাবার সাথে কুল চাষ শুরু করেন তিনি। সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে এখন উৎপাদিত কুল বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
বর্তমানে তাদের দুইটি বাগানে আপেল কুল, বাউকুল, বল সুন্দরী,নারিকেল সুন্দরী, কাশ্মীরী, থাই টক সহ ছয়,জাতের কুল রয়েছে।
বাগানে দাঁড়িয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে রহিম জানান, তার বাগানের কুল খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। ঝালকাঠির আশেপাশের পাইকাররা তার বাগান থেকে কুল ক্রয় করে। তিনি আরও জানান তার বাগানে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এবছর সিত্রাংয়ে ক্ষতি না হলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার কুল বিক্রি করা যেতো। তারপরও ৪ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার কুল বিক্রি করা যাবে।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন,ঝালকাঠিতে এবছর ৮৮ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৫ হেক্টর জমিতে কুল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ থেকে ৬৭৭ মে.টন কুল উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কুল চাষিদের প্রশিক্ষন, সার, সেচ ব্যবস্থাপনা সহ উন্নত জাত সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করছে।