মো: মহিবুল ইসলাম,বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগীতে উচ্চ শব্দে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ৩ হাজার বাড়ন্ত লেয়ার মুরগি মারা যাওয়ায় প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। খামার উজাড়ে পথে বসছে তরুন উদ্যোক্তা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিসমত করুনা গ্রামের বাসিন্দা উচ্চ শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা জাহিদ হাসান রিগ্যান দীর্ঘ ৯ বছর ধরে প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত আকারে খামার ব্যবসা শুরু করে ব্যবসার লাভ ও ঋণ নিয়ে বছর বছর পরিধি বাড়িয়ে ৪ হাজার লেয়ার মুরগির খামার করে আসছিলো।
খামারির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে খামারের পাশে একই গ্রামের খলিলুর রহমান নামে এক প্রতিবেশির ধান মাড়াই মেশিন চালানোর ফলে হঠাৎ মেশিনের উচ্চ শব্দে মুরগিগুলো ভয়ে একত্রিত হয়ে খামারের ভেতরে চাপের কারণে তাৎক্ষণিক ১৯টি মুরগির মৃত্যু হয়। অবশিষ্ট গুলোর খামারের ধূলো নাকে-মুখে যাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে খাবার বন্ধ করে দেওয়ায় দুই-তিন দিনের ব্যবধানে ৩ হাজার ৪৮১টি মুরগি মারা গিয়ে উজাড় হয়ে পরে খামার। আক্রান্ত অন্য মুরগিগুলো বেঁচে থাকলেও তাঁর অবস্থাও করুন। আর এতে তরুণ উদ্যোক্তা ‘মেসার্স জোমাদ্দার পোল্ট্রি ফার্ম অ্যান্ড ফিড’ প্রো. মো. জাহিদ হাসান রিগ্যানের প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। মৃত মুরগিগুলো মাটি চাপা দেওয়ার হয়। গত ৯ ফ্রেরুয়ারি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এর আগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ ফার্ম পরিদর্শন করেন।
মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে ২০০৯ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স করে চাকুরিতে না ঢুকে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় খামার গড়ে তুলে খামারের লাভের অর্থ ও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন এনজিও থেকে ১৫-১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দিনে দিনে ব্যবসার পরিধি বাড়ালেও খামারের এ ব্যাপক ক্ষতি সাধনে পুঁজি হারিয়ে আজ পথে বসেছে এই তরুণ উদ্যোক্তা।
ক্ষতিগ্রস্থ তরুণ উদ্যেক্তা ‘মেসার্স জোমাদ্দার পোল্ট্রি ফার্ম অ্যান্ড ফিড’ প্রো. মো. জাহিদ হাসান রিগ্যান বলেন, ‘সব কিছু হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব ও চরম অসহায়াত্বের মধ্যে সময় পার করে আসছি। সংশ্লিস্টদের নিকট সু-দৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতার দাবি করছি।
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আশরাফ হোসেন বলেন, সরজমিনে সেখানে আমি পরিদর্শনে গিয়ে ছিলাম। পর্যবেক্ষন ও খোঁজ-খবর নিয়ে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি, মাড়াই মেশিন চালানোর ফলে উচ্চ শব্দে ভয়ে তাৎক্ষণিক কিছু মুরগিগুলো মারা যায়। বাকি মুরগি গুলো খামারের ধূলোর কারণে অসুস্থ হয়ে খাদ্যবন্ধ হওয়ায় মারা গিয়ে খামারি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির খলিফা বলেন,‘খামারির যে ক্ষতি হয়েছে। তা পুষিয়ে ওঠার নয়। তবে পুন:রায় খামারটি চালু করতে হলে এই মুহূর্তে তাঁকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া জরুরি।