তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে হাজার হাজার বছর থেকেই ফুলের ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। আজকের এই দিনে প্রেমিক তার ভালোবাসার মানুষকে অন্তত একটিবার ফুল দিয়ে বলতে চায় মনের ভালোবাসার কথা। কিন্তু চার দিন আগে যে গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছিল ১০-১৫ টাকা, সেটি এখন গাইবান্ধার বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চার দিনের ব্যবধানে এতটা দাম বেড়ে যাওয়ায় অবাক হয়েছেন ফুল কিনতে আসা অনেক ক্রেতা।
আসাদুজ্জামান মার্কেটে ফুল কিনতে এসেছেন ক্রেতা- দ্যা মেইল বিডি
ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে গোলাপের । ক্রেতারা বলছেন, এ সুযোগে অতিরিক্ত দাম নিয়ে বেশি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা।ভালোবাসা দিবসের দিন গাইবান্ধা শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেট সহ বিভিন্ন স্থানের ফুলের দোকান গুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড় । এই ভিড় সামলাতে দোকানের সামনে অস্থায়ী স্টল খুলে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে তিন ধরনের গোলাপ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে একটি দেশি, বাকি দুটি চায়না৷ চায়না হলুদ গোলাপ চার দিন আগে বিক্রি হতো ১০-১৫ টাকা, এখন তা ৫০ টাকা। চায়না সাদা গোলাপ বিক্রি হতো ২০ টাকা, এখন তা ১০০ টাকা। দেশি গোলাপ আগে ছিল ১০-১৫ টাকা, এখন ৫০ টাকা। রজনীগন্ধা ২৫ , গাঁদা ফুল শতকরা ১০০ টাকা,জারবেরা ফুল প্রতি পিস ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
এ ছাড়া জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, ভুট্টা কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি ও গাঁদাসহ নানা জাতের ফুল রয়েছে দোকানগুলোতে। সেগুলোর দামও বেড়েছে। এদিকে, প্রত্যেক স্টলে গোলাপ নিয়ে দরদাম করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। বেশি দাম হওয়ায় অনেকে চারটির স্থলে দুটি, ১০টির স্থলে পাঁচটি কিনেছেন।বন্ধুদের নিয়ে ফাল্গুন বরণের জন্য ফুল কিনতে এসেছেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিফা তাসনিয়া মৌটুসী, আতিকুর রহমান ও সিনথিয়া শারফিন।
আসাদুজ্জামান মার্কেটের ফুলের দরদাম করছিলেন রিফা তাসনিয়া মৌটুসী। তিনি বলেন, আগে ১৫ টাকা দিয়ে গোলাপ নিতাম, এখন ৫০ টাকা দিয়ে দেশি লাল গোলাপ নিলাম। ভেবেছিলাম অনেকগুলো নেবো। কিন্তু মাত্র তিনটি নিয়েছি। আর ক্রাউনের দামও অনেক বেশি। ক্রাউন গুলো আগে ৫০ টাকা বিক্রি হতো এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা ।
কণা ফুল ঘরের সত্ত্বাধিকারী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন দিবসের সাত দিন আগে ফুল স্টক করতে হয়। না হয় ফুল পাওয়া যায় না। আর পাইকাররা চাহিদা বুঝে দাম বাড়িয়ে দেন। তাই আমাদের আর কিছু করার থাকে না। দাম বেশি দিয়েই কিনতে হয়। বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।