নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে পাঠদান চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে পাঠগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশু-কিশোরা।
জানা যায়, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয় ১৯৭৩ সালে। এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও আছেন মাত্র ৪ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক জন হলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে দিনদিন বিদ্যালয় বিমুখ হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। নদী তীরবর্তী হওয়ায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গন ও বন্যার সাথে মোকাবেলা করে টিকে থাকা প্রায় ৭৮ বছরের পুরাতন এ বিদ্যালয়টি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
প্রধান শিক্ষক নবাব আলী জানান, উপজেলার অজ পাড়া-গাঁয়ের মধ্যে অবস্থিত হলেও পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক মণ্ডলী ও অভিভাবকদের আন্তরিকতার কারণে অত্র বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ভালো। প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করে। অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ বিগত সময়ে বার্ষিক, ষান্মাসিক, বৃত্তি ও পিএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যালয়ে মাত্র ৪ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষককে দাপ্তরিক কাজে অনেক সময় বাইরে যেতে হয়। তখন মাত্র ৩ জন (একজন মহিলা) শিক্ষক দিয়ে কষ্ট করে পাঠদান করতে আমাদের খুব কষ্ট করতে হয়। ৩ জন শিক্ষক দিয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো কষ্টসাধ্য। ইতিপূর্বে আমরা বার বার শিক্ষা অফিসে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন নিবেদন করেও কাজ হয়নি। চলতি বছরের নিয়োগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দুই জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওই দুইজন শিক্ষক অদৃশ্য শক্তির কারণে একজন একদিন এবং অন্যজন দুইদিন ক্লাস করে অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যান।
অভিভাবকরা বলেন, উপজেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬-৭ জন শিক্ষক দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ ছোটখাতা ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জনের বিপরীতে মাত্র ৪ জনশিক্ষক দিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ জানান, ছোটখাতা ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২জন নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রাপ্ত হয় এবং তারা যোগদান করেন। পরবর্তীতে তারা অন্য বিদ্যালয়ে যোগদান করে এ বিষয়ে আমি জানি না এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্তা করা হবে।